ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
বৃহস্পতিবারের দুপুরটাই দেখিয়ে দিয়েছে, খরা কেটেছে। প্রমাণ মিলেছে গড়িয়াহাটেই। সর্বদা ব্যস্ত এই মোড়ে মানুষের ভিড় এদিন বেড়ে যায় অনেক গুণ। ছ’জন ট্রাফিক সার্জেন্ট সেই ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। অন্যান্য বছরের মতো রাস্তায় বাঁশের বেড়া বসিয়ে অবাধ্য ক্রেতাদের পথ আটকাচ্ছিলেন তাঁরা। বড় শাড়ির দোকান তো বটেই, ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে যাঁরা পোশাক বিক্রি করেন, ব্যস্ততা ছিল তাঁদেরও। মহিলাদের ঘরোয়া পোশাকের বিক্রেতা সুভাষ বৈদ্য জানালেন, ক্রেতাদের এই আনাগোনায় তাঁরা সন্তুষ্ট। যেটুকু বিক্রিবাটা চলছে, তা যদি আগামী কয়েক দিন ধরে রাখা যায়, তাহলে খারাপ ব্যবসা হবে না। আর যদি ভিড় বাড়ে, তাহলে তো কথাই নেই।
হাতিবাগানে শাড়ির ব্যবসা রয়েছে রঞ্জন রায়ের। তাঁর কথায়, গত শনি-রবির বৃষ্টির মধ্যেও জাঁকিয়ে বাজার হয়েছে। বিশেষ করে রবিবার বিকেল থেকেই যেন পুজো মার্কেটিংয়ের বোধন হয়েছিল এই চত্বরে। সেই রেশ চলছে এবং বাড়ছে পুজোর দামামা। বাজেট কম হলেও, মানুষ কিছু না কিছু কিনছেন। রঞ্জনবাবু বলেন, ‘এই বাজার যদি আর দিন পনেরো আগে শুরু হতো, কথাই ছিল না।’
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই নিউ মার্কেটে চত্বরে ভিড় ছিল জমজমাট। হগ মার্কেটের সামনের রাস্তায় জুতো, ব্যাগ, খেলনা, ওড়না বা ইমিটেশন গয়নার কেনাবেচা চলল দেদার। হগ মার্কেটের ভিতরে ভিড় উপচে না পড়লেও ক্রেতাদের আনাগোনা ভালোই ছিল। বরং এসএন ব্যানার্জি রোডের উপরের মলগুলিতে যথেষ্ট ভিড় ছিল এদিন। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত পর্যন্ত বিক্রিবাটাও চলেছে দেদার। নামজাদা জুতোর দোকানগুলিতে চেনা ছন্দে ফিরল ভিড়। পুজোর বাজার পুরনো ছন্দে ফেরায় চাঙ্গা চাউমিন-রোল বিক্রেতারাও। সব মিলিয়ে কাজের দিনের পুজো মার্কেটিং জানান দিল, উৎসবে ফিরতে প্রস্তুত শহর কলকাতা।