ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
বুধবার ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েছে হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে এদিন জল নামতে শুরু করেছে। প্রায় তিন ফুট জল নেমেছে বলে জানা গিয়েছে। তারকেশ্বর ব্লকের চাঁপাডাঙ্গা, তালপুর ও কেশবচকে তিনটি করে এবং ধনেখালি থানার অন্তর্গত গোপীনাথপুর ২ নম্বর ব্লকের চৌতারা, হবিবপুর ও চৈতন্যবাটি এলাকায় মোট সাতটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। কেশবচকে আটকে থাকা প্রায় দু’ হাজার জলবন্দি মানুষের কাছে পানীয় জল, শুকনো খাবার, গুঁড়ো দুধ পৌঁছে দিয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, দুপুরে নৌকায় করে গিয়ে ভাত ও খিচুড়ি এবং রাতে চিঁড়ে, মুড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
কেশবচক গ্রাম পঞ্চায়েতের নছিপুরের পাত্রপাড়া, দেবীপুর, নছিপুর উত্তরপাড়া এলাকায় প্রায় আড়াইশো পরিবারের বাস। বুধবার থেকে তাঁরা জলবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের তরফ থেকে এখনও অবধি কোনও সহযোগিতা মেলেনি। প্রশাসন অবশ্য অন্য কথা বলছে। তারা জানিয়েছে, দুর্গত সবাইকে ত্রাণ শিবিরে যাওয়ার জন্য বারে বারে অনুরোধ করা হলেও তাঁরা সেখানে যেতে রাজি হননি।
তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায় বলেন, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী আরামবাগ মহকুমা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী প্রশাসনের সব দপ্তর দিনরাত কাজ করছে। বানভাসিদের উদ্ধারের জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা তৎপর। জলবন্দি মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা দেখা হচ্ছে। যাঁরা ত্রাণ শিবিরে গৃহপালিত পশুদের নিয়ে এসেছেন, তাদেরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্রুত জল নামছে।
অন্যদিকে, জাঙ্গিপাড়ার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তমাল শোভন চন্দ্র বলেন, বানভাসি মানুষকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত খাবার, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর চিকিৎসার দিকটি দেখছে। বহু ঘর এখনও জলের তলায়। চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিন হাজার হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।