ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
শুধু ঘুসুড়ির জে এন মুখার্জি রোডেই নয়, শালিমার থেকে বেলুড় পর্যন্ত গঙ্গার পাড় ধরে থাকা সারি সারি গোডাউন মূলত বিভিন্ন ধরনের দাহ্য সামগ্রী মজুত করে রাখা হয়। পোর্ট ট্রাস্টের জমিতে থাকা এমন গোডাউনের সংখ্যা ১৫০-র বেশি। ব্রিটিশ আমলের সেই গুদামগুলিকে আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও বছরের পর বছর ধরে লিজের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থা ছাঁট কাপড়, তুলো, থার্মোকল, মোটা কাগজের বাক্স মজুদ করার গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করছে। গোডাউনগুলির বাইরে টাঙানো বোর্ডে লেখা রয়েছে বিভিন্ন সংস্থার নাম ও জিএসটি নম্বর। জানা গিয়েছে, কয়েক দশক আগে নামমাত্র অর্থের বিনিময়ে পোর্ট ট্রাস্ট বহু ব্যবসায়ীকে ওই সব গোডাউন লিজে দিয়েছিল। এরপর বিভিন্ন সময়ে সেগুলি একাধিক সংস্থার কাছে হস্তান্তর হয়েছে। তাই বর্তমানে কোন গোডাউন কার নামে লিজে রয়েছে, তা বের করা দুরুহ। পুরনো চুক্তিপত্র দিয়েই সেই গোডাউনগুলিতে নেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের সংযোগ। বসানো হয়েছে এসি মেশিনও।
বৃহস্পতিবার জে এন মুখার্জি রোডের বিভিন্ন পুরনো গোডাউনে গিয়ে দেখা গেল, কয়েকটিতে বিপজ্জনক অংশ ভেঙে নতুন করে নির্মাণ চলছে। কংক্রিটের ঢালাইয়ের কাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা। জতুগৃহ হয়ে থাকা প্রায় প্রতিটি গোডাউনেই অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা নেই। ফলে কোথাও অগ্নিকাণ্ড হলে দাবানলের মতো আগুন ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, কোন গোডাউনের জমিতে কি চলছে পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের তরফে খোঁজখবর রাখা হয় না। বিষয়টি নিয়ে পোর্ট ট্রাস্টের জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বৃহস্পতিবার কোন গোডাউনে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’ পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ দায় এড়ালেও বেআইনিভাবে গোডাউনগুলিতে বিভিন্ন সামগ্রী মজুত করার কারবার চলছে তা স্বীকার করে নিয়েছে হাওড়া পুরসভা। পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘নিজেদের জমিতে কি চলছে সেটা পোর্ট ট্রাস্টের নজর দেওয়া উচিত। দমকলকেও নজর দিতে হবে। গোডাউন ভাড়ায় নেওয়া সংস্থাগুলির ট্রেড লাইসেন্স, সার্টিফিকেট অব এনলিস্টমেন্ট, সংস্থার কর্ণধারের আধার কার্ড সবকিছুই খতিয়ে দেখা হবে। কতদিন ধরে সেগুলি ভাড়ায় চলছে সেটাও দেখবে পুরসভার টিম।’ পাশাপাশি বিপজ্জনক গোডাউনগুলিতে নোটিস টাঙানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওড়া পুরসভা।