ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
সাকিব শুধু ধুরন্ধর ক্রিকেটারই নন, রাজনীতির পিচটাও ভালোই বোঝেন। আর সে জন্যই খেলা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আওয়ামি লিগের টিকিটে সাংসদ হতে পেরেছিলেন। কিন্তু কে জানত, এই সিদ্ধান্তই তাঁকে একদিন দেশবাসীর চোখে ‘খলনায়ক’ বানিয়ে দেবে। আসলে বাংলাদেশে পালাবদলের পর সেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের নানা অজুহাতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সাকিবের বিরুদ্ধেও রুজু হয়েছে হত্যা মামলা। ফলে দেশে ফিরলে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা রয়েছে। তাই পাকিস্তান সফরের পর তিনি চলে গিয়েছিলেন বিদেশে।
সাকিবকে দল থেকে ছেঁটে ফেলার নীল নকশা তৈরি ছিল। সেই কারণেই গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং সাকিবের মধ্যে ঘন ঘন বৈঠক হয়েছে। দুই পক্ষই খুঁজছিল এমন সমাধান সূত্র, যাতে সাপও মরে লাঠিও না ভাঙে। বোর্ডের পরামর্শ মেনে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব। বদলে তাঁকে মীরপুরে খেলার জন্য নিরাপত্তা দেওয়ার দাবিও রেখেছেন। তবে ক্রিকেটর সঙ্গে দীর্ঘ ১৭ বছরের সম্পর্কে ইতি টানা সহজ ব্যাপার নয়। অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় ছলছলে চোখে সাকিব বলেন, ‘দেশের জার্সিতে আর টি-২০ ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা নেই। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলা চালিয়ে যাব। আমার পারফরম্যান্স দেখে বোর্ডের যদি মনে হয় আমাকে দলের দরকার, তাহলে অবশ্যই ভেবে দেখব।’ সাকিব একই সঙ্গে জানিয়েছেন, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হতে যাচ্ছে দেশের জার্সিতে তাঁর শেষ ওয়ান ডে আন্তর্জাতিক মঞ্চ। ৭০টি টেস্টে করেছেন ৪৬০০ রান। নিয়েছেন ২৪২টি উইকেট। এছাড়া খেলেছেন ২৪৭টি ওয়ান ডে এবং ১২৯টি টি-২০ ম্যাচ। উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ৩১৭ ও ১৪৯। বাংলাদেশের ক্রিকেট সাকিবের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।