ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
প্রথম ম্যাচে স্লোভাকিয়ার কাছে বেলজিয়ামের হারটা মেনে নিতে পারেননি কেভিন ডি’ব্রুইনরা। সেই রাগ যেন শনিবার রোমানিয়ার বিরুদ্ধে মেটালেন তাঁরা। পুরো ম্যাচে একের পর এক আক্রমণ হেনে প্রতিপক্ষের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিলেন জেরেমি ডকুরা। পরিসংখ্যান বলছে, রোমানিয়ার গোলে মোট ২০টি শট নিয়েছিল বেলিজিয়ানরা। তার মধ্যে ৯টি লক্ষ্যে ছিল। অর্থাত্ প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে অন্তত হাফ-ডজন গোলে জিততে পারত টেডেস্কো-ব্রিগেড। কিন্তু বাদ সাধল সেই লুকাকুর ভাগ্য। তারকা স্ট্রাইকার শনিবারও একের পর এক সুযোগ হেলায় হারাচ্ছিলেন, আর মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ছিলেন। মনে হচ্ছিল, কোনও অভিশাপ যেন তাঁকে তাড়া করছে। ৬৪ মিনিটে ডি’ব্রুইনের সাজিয়ে দেওয়া বল থেকে জাল কাঁপিয়ে ক্ষণিকের জন্য স্বস্তি ফিরে পেয়েছিলেন তারকা স্ট্রাইকার। কিন্তু ভার প্রযুক্তিতে তা বাতিল হয়।
কোচ টেডেস্কো প্রথম একাদশে চারটি পরিবর্তন করেন। তারমধ্যে অন্যতম টাইলেম্যানসকে মাঝমাঠে ফেরানো। ৭৫ সেকেন্ডেই লুকাকুর পাস থেকে জাল কাঁপান তিনি। এরপর একচেটিয়া দাপট দেখালেন টেডেস্কোর ছেলেরা। আলাদা করে প্রশংসা করতে হবে জেরেমি ডকুর। লেফট উইং থেকে বারবার গতির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্সকে তছনছ করে দিচ্ছেল তিনি। সেই সঙ্গে মাঝমাঠে ফুল ফোটালেন কেভিন ডি’ব্রুইন। ম্যান সিটির তারকা মিডিও ছন্দে থাকলে তাঁর দল সচরাচর হারে না। এদিন তো আবার ডি’ব্রুইনের গোলেই বেলজিয়ামের জয় নিশ্চিত হল। ৭৯ মিনিটে গোলরক্ষকের লম্বা শট ধরে ঠান্ডা মাথায় জাল কাঁপান তিনি। ম্যাচের পর কোচ টেডেস্কো বলেন, ‘দলের জয়ে খুশি। কিন্তু একাধিক সুযোগ নষ্ট করেছে ছেলেরা। এই সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে না পারলে ভুগতে হবে।’