ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ২৮ বছরের সঞ্জয়ের নামে একাধিক দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে। চুরির অভিযোগে কিছুদিনই আগেই সে জেল খাটে। ঝাড়গ্ৰাম স্টেশন চত্বরে কিছুদিন ধরে সে দৃষ্টিহীন স্ত্রী ও পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে ভিক্ষা করছিল। ঝাড়গ্ৰাম ব্লকের ডালকাঠি গ্ৰামের বাসিন্দা জগৎপতি ভুক্তার সঙ্গে তার স্টেশনে পরিচয় হয়। জগৎপতি স্টেশন লাগোয়া একটি খাবারের হোটেলে কাজ করেন। পারিবারিক অশান্তির জেরে তিনি স্ত্রী সুস্মিতা ভুক্তা ও ন’মাসের শিশুকে দিনের বেলা স্টেশন চত্বরে রাখতেন। রাতে কাজ সেরে স্ত্রী ও বাচ্চাকে নিয়ে পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কদমকানন এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে উঠতেন। দুই পরিবারের মধ্যে সখ্য বাড়ায় একে অপরের ছেলে-মেয়েকে খাবার দেওয়া নেওয়াও চলত। সুস্মিতা এদিন বলেন, গত শনিবার সকালে সঞ্জয়ের স্ত্রীর কাছে মেয়েকে রেখে শৌচালয়ে যাই। এসে ওদের দেখতে না পেয়ে ভেবেছিলাম বাচ্চাটি নিয়ে ভিক্ষা করতে বেরিয়েছে। রাত পর্যন্ত না ফেরায় খোঁজাখুজি শুরু হয়। না পেয়ে রবিবার রাতে জিআরপি থানায় লিখিত অভিযোগ করি। এদিন পুলিস বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে আমার হাতে তুলে দিয়েছে।
ঝাড়গ্ৰাম জিআরপির এক অফিসার বলেন, অভিযোগের পরই স্টেশন এলাকার ফুটেজে সঞ্জয়কে বাচ্চাটিকে নিয়ে বের হতে দেখা যায়। সঞ্জয়ের বাড়ি বেলিয়াবেড়া থানা সহ অন্যান্য এলাকায় খোঁজখবর শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাঁশকুড়ার জিআরপি থানা এলাকা থেকে সঞ্জয়কে গ্ৰেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, সে বাচ্চাটিকে পাঁশকুড়ার কনকপুর এলাকার বাসিন্দা রেণুকা দাসকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। এরপর রাতেই রেণুকাকে গ্ৰেপ্তার করা হয়। রেণুকাকে জেরা করে জানা যায় সে তার আত্মীয় হাওড়ার শ্যামপুর থানার বাসিন্দা সোমা রুইদাসকে বাচ্চাটি দিয়েছে। শুক্রবার সকালে তদন্তকারী দলের অফিসাররা বাচ্চাটিকে উদ্ধার করার পাশাপাশি সোমাকে গ্ৰেপ্তার করে। রেণুকা ও সোমার আত্মীয়তার সম্পর্ক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিআরপির এসপি দেবশ্রী সান্যাল বলেন, ঝাড়গ্ৰাম জিআরপি থানার তদন্তকারী দল শিশুকন্যা উদ্ধারে ভালো কাজ করেছে। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে।