ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
উল্লেখ্য, মধুকুণ্ডা এলাকায় দু’টি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা রয়েছে। এতদিন মধুকুণ্ডা বাজার থেকে জগন্নাথডি গ্রামের ভিতরের রাস্তা দিয়ে কারখানার যানবাহনগুলি যাতায়াত করত। কিন্তু দুর্ঘটনায় এড়াতে ওই গ্রামের বাসিন্দারা কারখানা কর্তৃপক্ষকে বাইপাস রাস্তা নির্মাণ করার জন্য এক বছর সময় দিয়েছিল। সময় পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ কোনও বাইপাস রাস্তা করেনি বলে অভিযোগ। তাই গত ৩১আগস্ট থেকে গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। দু’টি কারখানার যাতায়াতের মূল রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে কারখানায় উৎপাদিত মাল নিয়ে গাড়িগুলি বের হতে পারছে না। অন্যদিকে কাঁচামাল নিয়ে গাড়িগুলি কারখানায় ঢুকতে পারছে না। বাধ্য হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ উৎপাদনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
শ্রমিকদের মধ্যে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, জগন্নাথ বাউরি বলেন, আমরা প্রায় ৪০০টি পরিবার কাজ হারিয়ে পথে বসতে চলেছি। কারখানা বন্ধের মুখে। আগস্ট মাস কাজ করলেও বেতন পাইনি। সেপ্টেম্বর মাসে ১৩দিন পর্যন্ত কাজ করেছিলাম। সামনে পুজো। বেতন, বোনাস কিছুই পাব না। কীভাবে আমাদের সংসার চলবে বুঝতে পারছি না। আমরা প্রশাসনের কাছে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বারবার আবেদন জানিয়েছি।
সাঁতুড়ি ব্লকের বিডিও পার্থ দাস বলেন, এদিন শ্রমিকরা এসেছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একটি কারখানার জেনারেল ম্যানেজার অনিল রজক বলেন, আমাদের তরফ থেকে সমস্ত কাগজপত্র প্রশাসনের হাতে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, আমরা সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছি।