সংবাদদাতা, করিমপুর: শুক্রবার হোগলবেড়িয়া থানার আরবপুর হরিপুর সমবায় সমিতির ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতিতে দুই পক্ষের ৩ জন আহত। ঘটনায় এক বিজেপি সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী অক্টোবর মাসের ৬ তারিখে সমিতির পরিচালক মণ্ডলীর নির্বাচন রয়েছে। সমিতির পরিচালক মণ্ডলীর ৯ জন নির্বাচিত সদস্যর জন্য শুক্রবার বেলা এগারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ ও গ্রহণ করার কথা ছিল। মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হওয়ার পর দুপুর একটা নাগাদ তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে বচসা ও পরে হাতাহাতি শুরু হয়। বিজেপির আরবপুর হরিপুর এলাকার শক্তিপ্রমুখ প্রসন্ন মণ্ডলের অভিযোগ, দীর্ঘদিন সমবায়ের ভোট বন্ধ রেখে শাসকদল নিজেদের দখলে রেখেছিল। এদিন সমিতির ভোটে নির্বাচনের জন্য তাদের দলের সমর্থিত দশজন ব্যক্তি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে জমা দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে আমি দেখি অফিস ঘরের মধ্যে তৃণমূলের সমর্থকরা মনোনয়নপত্র দাখিলের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তৃণমূলের সমর্থকরা পরিকল্পনা করে ভোটার নয় এমন বহিরাগতদের নিয়ে এসে আমাদের সমর্থিত প্রার্থীদের ঘরে ঢুকতে বাধা দেয়। এই নিয়ে প্রতিবাদ করলে বাকবিতন্ডার মধ্যে ওরা আমাদের দিলীপ বিশ্বাস, মিঠুন প্রামাণিক সহ বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করে। আগামীকাল মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমা দেওয়ার তারিখ থাকলেও আমাদের দলের সমর্থকরা মনোনয়ন দাখিল করবে কিনা বুঝতে পারছে না। এই হাতাহাতিতে পিন্টু খান নামে এক তৃণমূল সমর্থকের নাক ফেটে যায়। তৃণমূলের যমশেরপুর অঞ্চল সভাপতি সুশান্ত মণ্ডলের পাল্টা অভিযোগ, মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমা দেওয়ার কাজ সুষ্ঠুভাবেই হচ্ছিল। আমাদের সমর্থকরা যখন মনোনয়নপত্র ঘরের মধ্যে জমা করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল, তখন ঘরের মধ্যে ভিড় ছিল। তখন আমাদের পক্ষ থেকে তাদের মিনিট দশেক পরে আসার কথা বলা হয়। কথা না শুনে ওরা অকারণে গন্ডগোল শুরু করে। আমাদের এক সমর্থকের নাক ফাটিয়ে দেয়। তাকে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য বহরমপুরে পাঠানো হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, পিন্টু খান নামে এক ব্যক্তি তিনজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের মধ্যে থেকে মিঠুন প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবারেও মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও দাখিল করার দিন থাকার কারণে সমবায় সমিতি অফিস চত্বরে পুলিসি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।