হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তালিতে জমিজটের জন্য ওভারব্রিজ তৈরি শুরু হয়নি। অনেক আগেই রেল এখানে ওভারব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রেলগেটের জন্য যানজট নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে উঠেছে। গেট পড়ে গেলে ২০-২৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। অ্যাম্বুলেন্সও আটকে যায়। বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ কীর্তি আজাদও ওভারব্রিজ তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি বলেন, প্রচারে বেরিয়ে দেখেছি এখানে কীভাবে মানুষের সমস্যা হয়। বিষয়টি নিয়ে রেল ও হাইওয়ে অথরিটির সঙ্গে কথা বলেছি। জেলার বাসিন্দারা বলেন, রসুলপুর, মেমারি, মশাগ্রামের বাসিন্দাদেরও একই সমস্যায় পড়তে হয়। এই এলাকার বাসিন্দারা বহুদিন ধরেই ওভারব্রিজ তৈরির দাবিতে সরব হয়েছিলেন। এবার তাঁদের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। বিশেষ করে মেমারি শহরের বাসিন্দারা দীর্ঘদিনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এই এলাকার বাসিন্দারাও বহুদিন ধরেই ওভারব্রিজ তৈরির দাবি জানিয়ে আসছেন। আগে একবার ওভারব্রিজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তারজন্য প্রায় ৪৩০ কোটি বরাদ্দও হয়। রাস্তার দু’পাশের গাছও কাটা হয়ে যায়। কিন্তু তারপর সবকিছু স্থগিত হয়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা হতাশ হয়েছিলেন। কাটোয়ার বাসিন্দাদেরও রেলগেটের জন্য যানজটে নাকাল হতে হয়। সেখানেও ওভারব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, দ্রুতগতির ট্রেন চলছে। রেলগেট থাকায় নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। ওভারব্রিজ তৈরি হলে রেল এবং এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। দুর্ঘটনাও কমে যাবে। বেশকিছু ওভারব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাকি এলাকায় জমি সমস্যা রয়েছে। জমি না পাওয়ার জন্যই অনেক জায়গায় ওভারব্রিজ তৈরির কাজ শুরু করা যায়নি। এবার জেলা প্রশাসনও চাইছে ওভারব্রিজ তৈরি হোক। জমি সমস্যা এবার মিটরে বলেই আধিকারিকরা মনে করছেন। কিছু এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিও অধিগ্রহণের দরকার হয়েছে। বৃহত্তর স্বার্থে তাঁরাও জমি দিতে উদ্যোগী হবে বলে আধিকারিকরা মনে করছেন। জেলা প্রশাসনের আর এক আধিকারিক বলেন, কোন এলাকায় কতটা জমি দরকার তা নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই বৈঠক হবে। এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধার কথা ভেবে রেলগেট তৈরিতে জোর দেওয়া হবে। ওভারব্রিজ তৈরি হয়ে গেলে যানবাহনের গতি বেড়ে যাবে।