হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮৮ সাল নাগাদ প্রায় ৯ একর জমি শিল্পতালুকের জন্য অধিগ্রহণ করে জেলা পরিষদ। জমিদাতা পরিবারগুলির দাবি, বাম আমলে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে জলের দরে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। জমি অধিগ্রহণের কয়েক বছরের মধ্যে কয়েকজন ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীকে কিছু জমি দেওয়া হয়। গড়ে ওঠে একটি প্লাস্টিক কারখানা, আটাকল ও পিসবোর্ড তৈরির কারখানা। তখনই স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিলেন, সিপিএম পছন্দের লোকেদের খুব কম টাকায় জমি দিয়েছে। সত্যিকারের শিল্পোদ্যোগীদের জমি না দিয়ে নেতাদের পছন্দসই লোকেদের জমি দেওয়ায় ফল হাতেনাতে মেলে। বছর কয়েকের মধ্যে আটাকল ও পিসবোর্ডের কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। টিকে থাকে প্লাস্টিক কারখানাটি। এরপর অনেক শিল্পোদ্যোগী জমি চেয়ে আবেদন করলেও সিপিএম পরিচালিত জেলা পরিষদ সাড়া দেয়নি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত কোনও শিল্প গড়ে ওঠেনি। বিঘের পর বিঘে জমি পড়ে রয়েছে। অধিগৃহীত জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। পরিত্যক্ত শিল্প কারখানাগুলি ঝোপজঙ্গলে ভরে গিয়েছে। অসামাজিক কাজের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
রাজ্যে পালাবদলের পর জেলা আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করায় বাসিন্দারা ফের আশায় বুধ বেঁধেছিলেন। কিন্তু আজও শিল্পতালুকের জমি তেমনই ফাঁকা পড়ে রয়েছে। বেদখল হয়ে যাচ্ছে জমি।
স্থানীয় সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান হরেকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েতের কাছে জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে তেমন কোনও তথ্য নেই। জমি বেদখল হচ্ছে সত্যিই। পঞ্চায়েত বা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই একটি তাঁত কাপড়ের হাট বসছে। আমরাও চাই শিল্প গড়ে উঠুক, বেকারদের কর্মসংস্থান হোক। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, এই বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।
এক জমিদাতা পরিবারের সদস্য লালু খাঁ বলেন, সিপিএমের নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শিল্প হলে পরিবারের সন্তানদের চাকরি হবে। জলের দরে বিঘে প্রতি কয়েক হাজার টাকা দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করে। আজ সেই সব জমির দাম বিঘে প্রতি প্রায় কোটি টাকা। আমরা চাই, নতুন সরকারের হাত ধরে শিল্প হোক। আমাদের সঙ্গে যে আর্থিক বঞ্চনা হয়েছে বর্তমান সরকার সেই দিকটাও একটু বিবেচনা করে দেখুক।