হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
গত শুক্রবার, ২১ জুন কালনা স্টেশন পরিদর্শনে আসেন হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার। স্টেশন চত্বরে বেআইনি দোকান দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপরই রেল কর্তৃপক্ষ দখলদারদের একাংশকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় দিয়ে উচ্ছেদের নোটিস দেয়। মঙ্গলবার অধিকাংশ নোটিস পাওয়া দোকানদাররা সরে যান। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ আরপিএফের বিশাল বাহিনী ও স্টেশন মাস্টার সহ শাবল গাইতি নিয়ে রেল কর্মীরা স্টেশন চত্বরে বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদে নামে। যদিও আগেভাগেই আধিকাংশ দোকান সরিয়ে নেন দোকানদাররা। যাঁরা সরিয়ে নেয়নি, তাঁদের দোকান রেলকর্মীরা ভেঙে দেন। তবে, এদিন স্টেশন চত্বরে রেলের জায়গা দখল করে থাকা বস্তিবাসী ও অন্যান্য দোকানদারদের কপালেও দুশ্চিন্তার চিন্তার ভাঁজ। কবে, তাদেরও এই ভাবেই উচ্ছেদের নোটিস দিয়ে হটিয়ে দেওয়া হবে। এদিন অবশ্য উচ্ছেদের প্রতিবাদে কোনও রাজনৈতিক দলকে সোচ্চার হতে দেখা যায়নি। তবে, ডিআরএমের নির্দেশ মতো স্টেশন চত্বরে জমে থাকা জঞ্জাল পরিষ্কার হয়নি। বেআইনি ভাবে সাইকেল ও মোটর বাইক পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও একই দৃশ্য নজরে পরে।
দুরে দাঁড়িয়ে উচ্ছেদের দৃশ্য দেখছিলেন স্টেশন চত্বরে দীর্ঘদিনের পরোটা বিক্রেতা মধু কর্মকার। চোখের জলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, আবার কবে বসতে পারব জানি না। বুঝতে পারছি না সংসার কীভাবে চলবে। স্টেশন ম্যানেজার উত্তম বিশ্বাস বলেন, রেলের জায়গা দখল করে থাকা দোকানদারদের সরে যাওয়ার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। এদিন রেলের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে দখলদারদের সরিয়ে দেওয়া হয়।