হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
দুর্গাপুর মহকুমাজুড়ে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বাড়ছে। স্থানীয় থেকে ভিনজেলা ও অন্য রাজ্য থেকে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্তে হতবাক দুর্গাপুরবাসী। আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী মহল। বাড়িতে লোকজন থাকা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীরা জানালা ভেঙে সোনার গয়না ও টাকাপয়সা লুট করে চম্পট দিচ্ছে। প্রকাশ্যে একের পর এক ছিনতাই থেকে বাইক চুরির ঘটনা ঘটছে। কয়েকদিন আগে এক শিশুকন্যাকে অপহরণ করা হয়। কয়েকটি ঘটনায় দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনও কিনারা হয়নি।
উল্লেখ্য, দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য কমাতে ২০১৭সালে দুর্গাপুরের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিসের পক্ষ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। বর্তমানে সিসি প্রায় ৪০০টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এরপরও তদন্তের স্বার্থে স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যক্তিগতভাবে বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিস সংগ্রহ করত। চলতি মাসে রানিগঞ্জে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতিতে আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর থেকে জেলার পুলিস দুষ্কৃতী কার্যকলাপ বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নেয়। দুষ্কৃতীদের গতিবিধি লক্ষ্য করতে গোপন ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা ক্যামেরা বসানো শুরু হয়। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর থানার পুলিস সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে চুরি যাওয়া বেশ কয়েকজন বাইক চোরকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার হয়েছে। বাইক চুরি বন্ধ করতে ও দুষ্কৃতীদের কাছে পৌঁছতে বেশকিছু বাইকে জিপিএস সিস্টেম বসিয়েছে পুলিস। ইতিমধ্যেই সাফল্য মেলে পুলিসের।
দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বাসিন্দা সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, আশিস মার্কেট এলাকায় পুলিস সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে। এতে দুষ্কর্ম অনেকটাই কমবে বলে আমরা আশাবাদী। দুর্গাপুর চেম্বর অব কমার্সের কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ শ্যাম বলেন, রানিগঞ্জে ডাকাতির পর আমরা আতঙ্কে ভুগছি। বাজার এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পুলিস-প্রশাসনকে জানিয়েছি। পুলিস নজরদারি বাড়ালে ও সিসি ক্যামের বসানো হলে অসামাজিক ও দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ কমবে।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, ইতিমধ্যেই কড়া নজরদারি ও পুলিসি পেট্রলিং শুরু হয়ে গিয়েছে। সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই তার ছবি তুলবে পেট্রলিংয়ের বিশেষ দল। ওই ব্যক্তির পরিচয় ও তার সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় এক হাজার সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। আগামী ছ’মাসের মধ্যে ছ’হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। গোপন ক্যামেরাও থাকছে। কোনওরকম দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না।-নিজস্ব চিত্র