হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২৮টি থানায় প্রতিদিন গড়ে ২০০মাতাল ধরা পড়ে। তাদের থানায় আটক করা হয়। ২৯০ধারায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পরদিন কোর্টে পাঠানো হয়। ৪০টাকা ফাইন দিয়ে কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ধৃত ব্যক্তি বাড়ি ফিরে যেত। স্পেশাল ড্রাইভ হলে একটা থানাতেই অন্তত ৫০জন মাতাল ধরা পড়ে। মদ বিক্রিতে এই জেলা এগিয়ে। প্রতিদিন গড়ে চার কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়। আবার এই জেলায় মাতালদের দাপাদাপিও রয়েছে। নতুন আইনে মাতালদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ধারাও বদলাচ্ছে। ৩৫৫নম্বর ধারাও যুক্ত হচ্ছে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, মাতাল ব্যক্তির প্রকাশ্যে মাতলামির জন্য ২৪ঘণ্টা আটক ও এক হাজার টাকা জরিমানা হবে।
আগামী ১জুলাই থেকে নতুন ফৌজদারি আইনে মদ্যপরা প্রকাশ্যে বেলেল্লাপনা করলে সমস্যায় পড়বে। কারণ, পুলিসের হাতে ধরা পড়লেই হাজার টাকা খসবে। ৪০টাকা ফাইন দিয়ে রেহাই পাওয়ার দিন শেষ। নতুন তিনটি ফৌজদারি আইন চালুর বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পুলিস অফিসারদের নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ চলছে। নতুন আইনে পুলিস অফিসারদের দক্ষ করে তুলতে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এবং জেলা পুলিসের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ চলছে। ২৪-২৮জুন পর্যন্ত পাঁচদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঁচশোর বেশি পুলিস অফিসার অংশ নিচ্ছেন। ইন্সপেক্টর, এসআই, এএসআই পদমর্যাদার অফিসাররা সকলেই ট্রেনিংয়ে অংশ নিচ্ছেন। বুধবারও পুলিস লাইনে জেলা আইনি কর্তৃপক্ষের সচিব সমরেশ বেরা পুলিস অফিসারদের ট্রেনিং দেন।
অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় অনেকেই সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। চুরি, ছিনতাই থেকে ইভটিজিং কিংবা আরও অনেক সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বহুক্ষেত্রে পুলিস এধরনের ঘটনার আগে ধরপাকড় করে। সেক্ষেত্রে ৩৪পুলিস অ্যাক্ট অথবা ২৯০ধারায় অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়। নামমাত্র টাকা ফাইন দিয়ে কোর্ট থেকে অভিযুক্ত রেহাই পেত। কিন্তু এবার এধরনের ঘটনায় এক হাজার টাকা ফাইন দিতে হবে। তাই মদ খেয়ে প্রকাশ্যে বেলেল্লাপনা করার আগে একশোবার ভাবতে হবে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিস সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ২৯০ধারা এখন বদলে আইপিসি ৩৫৫হচ্ছে। এতে জরিমানার অঙ্ক বাড়ছে। আগামী ১জুলাই থেকে এটা কার্যকর হবে।