হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার গৌতম দত্ত বলেন, বাড়িতে বাড়িতে এসি বসানোর প্রবণতা বেড়েছে। তারফলে লাইনের উপর লোড বাড়ছে। নতুন ট্রান্সফর্মার বসানো হলে লো ভোল্টেজ অনেকটাই কমে যাবে।
বর্ধমান শহরে বিদ্যুৎ দপ্তরের চারটি সেক্টর রয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, শুধু একটি সেক্টরেই গরমের সময় ৭০০ এসি লাগানো হয়েছে। অনেকের বাড়িতে দুই থেকে তিনটি করে এসি বসছে। অথচ তাঁরা লোড বাড়ানোর জন্য অনুমতি নেননি। তার খেসারত এলাকার বাসিন্দাদের দিতে হচ্ছে। তবে, বিশেষ সফ্টওয়্যার বসানোর ফলে কোন বাড়িতে কত বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে, তা সহজে জানা যাচ্ছে। সেই মতো তাদের লোড বাড়াতে হবে।
ট্রান্সফর্মার বসানোর ক্ষেত্রে শহরে জমি পেতে সমস্যা হচ্ছে। গ্রামে সেই সমস্যা নেই। খুব সহজে জমি পাওয়ায় দ্রুত ট্রান্সফর্মার বসানোর কাজ চলছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের অপর এক আধিকারিক বলেন, আগে সাধারণত শহরের বাসিন্দাদের বাড়িতে এসি বসাতেন। কিন্তু দিন দিন গরম বাড়ছে। তাই এখন প্রত্যন্ত গ্রামেও এসি বসছে। অনেকের ধারণা রয়েছে, দপ্তরে এসি বসানোর কথা না জানালে জানতে পারবে না। সেই ধারণা একেবারেই ভুল। হঠাৎ করেই বিদ্যুতের খরচ বেড়ে গেলেই নির্দিষ্ট সফ্টওয়্যার জানান দেবে। তবে শুধু এসি নয়, বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় এমন কিছু যন্ত্র বসালেও তা জানা যাবে। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হলেই অনুমতি নেওয়ার জন্য বলা হবে। এই সফ্টওয়্যার বসানোয় দপ্তর লাভবান হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারাও উপকৃত হয়েছেন। কারণ লো-ভোল্টেজ সমস্যা মিটবে। বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার প্রচণ্ড গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা সবর্ত্র একলাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। সেই অনুপাতে লোডশেডিং হয়নি। আগামী দিনে জেলায় আরও কয়েকটি সাবস্টেশন হবে। সেগুলির কাজ শেষ হলে লোডশেডিং আরও কমে যাবে।