হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুরে আসে বসিরহাট থানার পুলিস। স্থানীয় পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে ধুনরা প্লটে অভিযান চালাতেই পর্দা ফাঁস। সেখানকার একটি ভাড়া বাড়িতে দিব্যি চলছিল নারী পাচারের চক্র। পুলিস হানা দিয়ে দু’টি মেয়েকে উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করা হয় তিন অভিযুক্তকে। খবরটি চাউর হতেই লোকজন জড়ো হয়ে যায়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চক্রের পান্ডাকে ঘিরে ধরে চলে উত্তম-মধ্যম। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জেলা থেকে নানা টোপ দিয়ে মেয়েদের এই ভাড়া বাড়িতে আনা হতো। তাদের কখনও বিয়ে দিয়ে আবার কখনও বিয়ে না দিয়ে ভিন রাজ্যে পাচার করে দেওয়া হতো। ডিসি অভিষেক গুপ্তা বলেন, ‘বসিরহাট থানায় একটি মামলার প্রেক্ষিতে সেখানকার পুলিস তিনজনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছে। নারী পাচারের অভিযোগ উঠেছে। আমরাও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানা এলাকা থেকে একটি ১৭ বছরের নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রায় আড়াই মাস আগে তাঁর বাবা সাবেক আলি মোল্লা নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এর মধ্যেই মেয়ের বাবার কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে তাঁকে বলা হয়, বিয়ের রেজিস্ট্রির জন্য জন্মের শংসাপত্র লাগবে। তা যেন পাঠানো হয় এই নম্বরে। তিনি পুরো বিষয়টি পুলিসকে জানান। যোগাযোগ করলে সেই নম্বরটি ও মেয়ের মোবাইল সুইচ অফ ছিল। তবে হাল ছাড়েনি পুলিস। তক্কে তক্কে থেকে তারা জানতে পারে, নিখোঁজ নাবালিকার ফোনটি সুইচ অন হয়েছে। টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিস জানতে পারে এলাকাটি দুর্গাপুরের ধুনরা প্লট।
বসিরহাট থানার পুলিসের দাবি, যে মোবাইল থেকে মেয়ের বাবাকে ফোন করা হয়েছিল তার সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে দুর্গাপুরের সেপকোর বাসিন্দা রঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের। সেই মতো তারা দুর্গাপুরে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় রঞ্জনের ভাড়া নেওয়া বাড়িতে আরও দুই মহিলা ছিল। সেখানে রঞ্জনকে পাওয়া গেলেও বসিরহাটের ওই নিখোঁজ মেয়েকে উদ্ধার করা যায়নি। ততক্ষণে এলাকাবাসীরা বাড়িটির সামনে জড়ো হয়ে যান। তাঁদের দাবি, এই বাড়িতে বিভিন্ন জায়গা থেকে মেয়ে আনা হয়। এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। শুরু হয়ে যায় রঞ্জনের উপর চোটপাট। ব্যাপক মারধর করা হয়। পুলিস বাড়ির মালিক নান্টু গরাই ও প্রবীর গরাইকে গ্রেপ্তার করা করে। তৃণমূল ব্লক সহসভাপতি বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, প্রবীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা। সে কি না নারী পাচারে যুক্ত! প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অসীমা চক্রবর্তী বলেন, রঞ্জনও সক্রিয়ভাবে বিজেপি করেন। মানবাধিকার সংগঠনের কর্তা সেজে মেয়ে পাচারে জড়িত। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন, প্রবীর আগে বিজেপি করলেও এখন দলের সঙ্গে কোন যোগ নেই।