হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক এ কে আর্য বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত এই ধরনের ঘটনা আমাদের লাইনে অস্বাভাবিক নয়। বিএসএফ জওয়ানরা অসাধারণ সাহস ও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশি অপরাধীদের ঘন ঘন আক্রমণ এবং অবৈধ কার্যকলাপের মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। অনুপ্রবেশ নিয়ে বিজিবির সঙ্গে ঘন ঘন পতাকা বৈঠক করা হচ্ছে। কিন্তু বিজিবির নিষ্ক্রিয়তা চোরাকারবারিদের উৎসাহিত করছে।
প্রসঙ্গত, বকরি ঈদকে কেন্দ্র করেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ফের গোরু পাচারের কারবার শুরু হয়েছে। সারা বছর টুকটাক গোরু পাচার হলেও এই উৎসবের সময় গোরু পাচারের রমরমা বাড়ে। ভারতের গোরু একবার সীমান্ত পার করে দিতে পারলেই কেল্লাফতে! তিনগুণ বেশি দামে সেই গোরু অনায়াসেই বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হয়ে যায়। সীমান্তের ওপারে গোরুর চাহিদার বেশি থাকলেও, জোগান কম। যার ফলে ৫০ হাজারের গোরু দেড় লাখে বিক্রি হয় ওপারে।
উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অনেক জায়গাতেই কাঁটাতার না থাকায় গোরু পাচারে বিশেষ অসুবিধা হয় না। রাতের অন্ধকারে বিএসএফের নজর এড়াতে পারলেই মুনাফা অবশ্যম্ভাবী। বাংলাদেশ থেকে চোরাকারবারিরা সীমান্ত টপকে ভারতে এসে হিসেবে মিটিয়েই গোরু নিয়ে পগার পার হয়ে যায়। কিন্তু কী করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ ঘটেছে চোরাকারবারিদের? তার জন্য বিজিবির নিষ্ক্রিয়তাকেই কাঠগড়ায় তুলছে বিএসএফ। যদিও সবসময় কারবারিদের মিশন সফল হচ্ছে এমনটা নয়। বিএসএফের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে চোরাকারবারিদের। তখনই বেধে যাচ্ছে খণ্ডযুদ্ধ। সম্প্রতি নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ সহ বিভিন্ন সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলিতে এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে। ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশের চোরাকারবারিরা আক্রমণ করছে জওয়ানদের। এমনটাই অভিযোগ বিএসএফের। আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাচ্ছে জওয়ানরা।