হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
হারেজের দাদু হায়দার শেখ বলেন, ‘রোজার মাসে কাজ করতে গিয়ে ওদের (সভাধিপতি) পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হয়। তখন হারেজকে ইফতার দিত ওরা। কুরবানিতে গোরু পাহারা দেওয়ার জন্য আট দশদিন ছিল। কিন্তু নামাজের পর থেকে ও আর বাড়ি আসেনি। ওরা খুব ভালোবাসত ওকে।’
যদিও সভাধিপতি হারেজের পরিবারের এই দাবিকে অস্বীকার করেছেন। ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িতে অনেকেই দেখভালের কাজ করেন। তাই কখন কে কাজ করেছে, তার সবটা নজরে রাখা সম্ভব নয়। আমি এরকম কাউকে চিনিও না। তাছাড়া আমার বাবার শরীর খারাপ ছিল। তাই বিগত কয়েকদিন ধরেই কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগর লাগাতার যাতায়াত করতে হয়েছে।’
সভাধিপতি অস্বীকার করলেও হারেজের গ্রেপ্তারের পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জেলার শীর্ষ জনপ্রতিনিধিদের বাড়িতে তার কাজ করার বিষয়টি উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন অনেকেই। ধৃত হারেজ নিজেও নবদ্বীপের মায়াপুর-বামুনপুকুর-১ অন্তর্গত প্রত্যন্ত মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা। এলাকার অনেকেই তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই দাবি করছেন। তাই এলাকাবাসীর কাছেও পশুপালক হারেজের জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার বিষয়টিও আশ্চর্যজনক লাগছে। দিনের সিংহভাগ সময় সে নামাজ পরে আর পশুপালন করেই কাটাত। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত হারেজ পড়াশোনা করেছে। এই সরল সাদাসিধে ভাবখানাই শাহাদত জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠার পিছনে সহায়ক হয়ে উঠেছে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের।
মঙ্গলবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে বেঙ্গল এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার হয় হারেজ শেখ। ধৃত হাবিবুল্লাকে জেরা করেই হারেজের সন্ধান পায় তদন্তকারী অফিসাররা। হাওড়ার গেঞ্জি কারখানায় কাজ করার নাম করে সোমবার সকালে বাড়ি থেকে হারেজ বেরিয়েছিল বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। আদতে হাবিবুল্লা গ্রেপ্তার হওয়ার কারণেই সে হাওড়া হয়ে দক্ষিণ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তার আগেই এসটিএফের জালে সে ধরা পড়ে যায়। কিন্তু ঘটনা হল, তার সঙ্গে নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতির বাড়ির যোগসূত্র উঠে আসায় বিষয়টি অন্যমাত্রা পেয়েছে।