বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
দিনকয়েক আগেই নাকাশিপাড়া ও কালীগঞ্জের কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি পরিবর্তন করা হয় এবং নতুন সভাপতি হন যথাক্রমে আনিসুর রহমান ও শাহনওয়াজ মুন্সি। তারপরে শুরু হয় কংগ্রেস কর্মী ও নেতাদের মধ্যে কানাকানি। বুধবার নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরিতে এক কর্মিসভায় নদীয়া জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পশুপতি অধিকারী বলেন, এখানে একটা মিথ্যা অপপ্রচার চলছে সভাপতির পদ নিয়ে। কংগ্রেসের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের আগে কোনও সভাপতি পরিবর্তন হয় না। প্রদেশ সভাপতির নির্দেশে যিনি আছেন, তিনিই থাকবেন। নাকাশিপাড়ায় অনিল বাড়ৈ ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। কালীগঞ্জের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ।
অনিল বাড়ৈ বলেন, বর্তমানে আমি নাকাশিপাড়া কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। যারা দাবি করছে নাকাশিপাড়ায় নতুন ব্লক সভাপতি করা হয়েছে তা একেবারে অন্যায্য। লোকসভা নির্বাচনের আগে দল থেকে কাউকে নতুন করে সভাপতি করা হয়নি। যদিও এ প্রসঙ্গে আনিসুর রহমান বলেন, প্রদেশ সভাপতি সোমে মিত্রের সঙ্গে কথা বলে জেলা কংগ্রেসের সিদ্ধান্তে জেলা সভাপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য গত ৮ মার্চ ব্লক সভাপতি হিসেবে আমাকে কার্যভার দেন। আমি সেইমতো কাজও শুরু করে দিয়েছি। এর আগে ২০০৯ থেকে টানা আট বছর ব্লক যুব সভাপতির পদ সামলেছি। কিছু লোক যে অভিযোগ করছে তা ভিত্তিহীন। নদীয়া জেলা কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে আমাকেই ভার দেওয়া হয়েছে এবং আমার কাছে তার প্রমাণ আছে।
অন্যদিকে, কালীগঞ্জে গত বিধানসভা নির্বাচনে জোটপ্রার্থী হিসেবে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়লাভ করেন বর্তমান বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখ। কিন্তু সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও ব্লক সভাপতি ছিল না। সেখানে জেলা পরিষদের আসন অনুসারে তিনজনকে আলাদাভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। লোকসভা ভোটের আগে সংগঠন বাড়াতে নতুন করে ব্লক সভাপতি করা হয়েছে বলে দাবি করেন শাহনওয়াজ মুন্সি। কিন্তু, কালীগঞ্জ কংগ্রেসের ১৫ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের সভাপতি মেসবাউল ইসলাম বলেন, অনৈতিকভাবে ওঁরা দাবি করছেন। বর্তমানে কালীগঞ্জ ব্লকে কংগ্রেসের কোনও সভাপতি নেই। জেলার আরএক কার্যকরী সভাপতি হামিদুল শেখ বলেন, নাকাশিপাড়া ও কালীগঞ্জের নতুন করে কোনও সভাপতি করা হয়নি। যারা দাবি করছে তা ভুল। প্রদেশ কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া কাউকে নতুন করে সভাপতি করা হয় না এবং প্রদেশ কংগ্রেসের তরফ সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, জেলা কংগ্রেস সভাপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য বলেন, আনিসুর ও শাহনওয়াজকে জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দায়িত্ব দিয়েছি। দুজন নতুন ছেলে উদ্যমী এবং সেইমতো কাজ করছে।
এদিকে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলেও কালীগঞ্জ, নাকাশিপাড়া ও পলাশীপাড়া বিধানসভার কংগ্রেসের সাধারণ কর্মী থেকে নেতারা চাইছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রতীকে কোনও প্রার্থী আসুক। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের কর্মীরা উজ্জীবিত হবেন এবং বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের কর্মীরা কংগ্রেসকে ভোট দেবেন। কিন্তু, সিপিএমের প্রার্থী হলে সেই ভোট পাওয়া যাবে না।