ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
মালদহের আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক তপনকুমার দাস বলেন, এই মুহূর্তে কোনও ঘূর্ণাবর্ত নেই। ফলে গরম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে তাপমাত্রা। আবার বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকায় চরম অস্বস্তি হচ্ছে। তবে কিছুটা আশার কথা শুনিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টা পর থেকে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তখন বৃষ্টি হলে কিছুটা রেহাই মিলবে। এই গরমে বেড়েছে শীতল পানীয় ও ডাবের বিক্রিও। ঠাণ্ডা লস্যি বিকোচ্ছে ৫০ টাকা গ্লাস দরে। ডাবের দাম দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকায়। মালদহ মেডিক্যালের চিকিৎসক পার্থসারথি রায় বলেন, অনেকেই জ্বর, সর্দিকাশির সমস্যা নিয়ে আসছেন। গরম থেকে রেহাই পেতে প্রবল ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বৃষ্টির রেশ কাটতেই দাবদাহ শুরু হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিস্তীর্ণ অংশেও। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চড়া রোদে জেরবার জেলার মানুষ। যার জন্য খুব প্রয়োজন ছাড়া দুপুরের দিকে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন না। সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, উত্তর দিনাজপুর জেলায় আগামী তিন, চার দিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে নিস্তার নেই মাত্রাতিরিক্ত গরম থেকেও। শুক্রবার আকাশ পরিষ্কার ছিল। রায়গঞ্জে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রির আশপাশে। কিন্তু অনুভূত হয়েছে ৪০ ডিগ্রি উষ্ণতা।
ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাবাসীও। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ও তীব্র গরম আরও কিছুদিন সইতে হবে জেলার বাসিন্দাদের। বালুরঘাট মাঝিয়ান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী দু’দিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। পরবর্তী দু’দিন হালকা ও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার জেলা সদর বালুরঘাটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ। চলতি মাসে বৃষ্টির প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। এবিষয়ে আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুমন সূত্রধর বলেন, আগামী কয়েকদিন এই গরম সহ্য করতে হবে। বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই।