সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: শুক্রবার আলিপুরদুয়ার পুরসভা নিয়ন্ত্রিত বেহাল মনোজিৎ নাগ বাস টার্মিনাস পরিদর্শন করলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। কিন্তু, এদিন পরিদর্শন করলেও পুরসভার ওই টার্মিনাসে সমস্ত ধরনের যানবাহন ঢোকার কোনওরকম নিশ্চয়তা দিতেই পারলেন না তাঁরা। ব্যর্থতা ঢাকতে প্রশাসনের সাফাই, দুর্গাপুজো হয়ে গেলে গাড়ি ইউনিয়নগুলিকে নিয়ে বৈঠকের পরেই টার্মিনাসে সমস্ত ধরনের যানবাহন ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হবে। সব মিলিয়ে পুজোর মধ্যেও শহরবাসীর যানজটের ভোগান্তি অব্যাহত থাকবে। গত ১২ সেপ্টেম্বর আলিপুরদুয়ারের এসডিও অফিসে পুরসভা ও প্রশাসনের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় ২০ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বেহাল টার্মিনাস পরিদর্শন করা হবে। পরের দিন ২১ সেপ্টেম্বর থেকে টার্মিনাসে সমস্ত ধরনের যানবাহন প্রবেশ করানো হবে। কিন্তু, শুক্রবার পরিদর্শনের পর পুরসভা ও প্রশাসন টার্মিনাসে বাস ছাড়া অন্যান্য যানবাহন প্রবেশের কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারল না। এদিন বেহাল টার্মিনাস ঘুরে দেখার পর আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার বলেন, টার্মিনাসে প্রবেশের রাস্তা, যাত্রীশেড ও বিশ্রামাগার সংস্কারের কাজ করবে পুরসভা। টার্মিনাসের পিছনে গজিয়ে উঠা জঙ্গল সাফাই করা হবে। টার্মিনাসে থাকা ট্রাকগুলিকে আরও পিছনের দিকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
কিন্তু, শহরকে যানজটমুক্ত করতে কবে থেকে টার্মিনাসে সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ করবে, এই প্রশ্নে এসডিও বলেন, এই কাজ চট করে করা সম্ভব নয়। সেইজন্য ঠিক হয়েছে পুজোর পরে গাড়ি ইউনিয়নগুলিকে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তারপর সমস্ত গাড়ি ঢোকানো হবে টার্মিনাসে।
মনোজিৎ নাগ বাস টার্মিনাস শামুতলা রোড ব্যবসায়ীর সম্পাদক আকাশ সাহা বলেন, শুক্রবারের পরিদর্শনের পর প্রশাসন টার্মিনাসে সমস্ত যানবাহন ঢোকানোর নিশচয়তা দিতে না পারায় আমরা হতাশ। তবে প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে পুজোর পরেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, নামেই টার্মিনাস। কিন্তু, পুরসভার ওই টার্মিনাসে কিছু বাস ছাড়া আর কোনও ধরনের যানবাহনই ঢোকে না। যানবাহনগুলি শহরের ব্যস্ত রাস্তায় দাঁড়িয়েই যাত্রী তোলা ও নামার কাজ করে। ফলে যানবাহনের ভিড়ে দীর্ঘদিন ধরে শহরের বাসিন্দাদের যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পুর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, টার্মিনাস সংস্কারের পর দুর্গাপুজো মিটে গেলেই সমস্ত ধরনের যানবাহন ঢোকানো হবে সেখানে। এটা একটু সময় লাগবে।