সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: বারোঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের দুই ভাই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের হুমকি ও গালিগালাজ করায় শুক্রবার ফের বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসী। স্কুলঘরে শিক্ষকদের আটকে রাখেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। দু’ঘণ্টা ধরে স্কুল ঘরে তাঁদের তালা মেরে রাখা হয়। পুলিস এসে শিক্ষকদের স্কুল ঘর থেকে বের করে আনে। বৃহস্পতিবারও স্কুলে সময়ে কোনও শিক্ষক না আসায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এদিন বিক্ষোভের পর শিক্ষকরা সকলের সামনে ভুল স্বীকার করে নেন। স্কুল পরিদর্শককেও মুচলেকা দেন। স্কুল পরিদর্শক শর্মিলা ঘোষ বলেন, অভিভাবক ও শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করে সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্কুলে সঠিক সময়ে কোনও শিক্ষক না আসায় তালাবন্ধ করে দিয়েছিলেন অভিভাবকরা। স্কুলের চাবি ছিল গ্রামের একজনের কাছে। শুক্রবার সঠিক সময়ে চার শিক্ষক স্কুল আসেন। স্কুল খুলে দেওয়া হয়। অভিযোগ, এক পার্শ্বশিক্ষকের দুই ভাই এদিন স্কুলে এসে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের গালিগালাজ করেন। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এতে অভিভাবকরা উত্তেজিত হয়ে শিক্ষকদের স্কুলঘরে ঢুকিয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান। দু’ঘণ্টা পর স্কুলে আসেন স্কুল পরিদর্শক শর্মিলা ঘোষ ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস। তাদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এবং শিক্ষকরা মুক্ত হন। শীঘ্রই অভিভাবকদের নিয়ে মিটিং করার পরামর্শ দেন স্কুল পরিদর্শক। অভিভাবক মাজেদুল রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার স্কুলের এক পার্শ্বশিক্ষক দেরি করে আসায় আমরা ঘুরে যেতে বলি। তাঁর সঙ্গে আমাদের কোনও তর্ক হয়নি। শুক্রবার তাঁর দুই ভাই স্কুলে এসে আমাদের গালিগালাজ করে।
ওই পার্শ্বশিক্ষক বলেন,বৃহস্পতিবার আমাকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অভিভাবকরা আমাকে গালিগালাজ করে স্কুল থেকে বের করে দেয়। শুক্রবারও আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় কয়েকজন অভিভাবক। তাই আমার দুই ভাই প্রতিবাদ করতে এসেছিল। গ্রামবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভজন হালদার।