সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূতনিতে বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি। জলমগ্ন প্রায় পাঁচটি গ্রাম। রাস্তাঘাট থেকে বাড়িঘর জলমগ্ন। উত্তর চণ্ডীপুরের সঙ্গে মানিকচকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। প্রতিদিন জল ঢুকছে ভূতনির ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। অন্যদিকে গঙ্গায় জারি হয়েছে হলুদ সর্তকতা। ফের বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা। শুক্রবার গঙ্গার জলস্তর পৌঁছছে ২৪.৯৫ মিটারে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে স্থানীয় বিধায়ক, ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন। ভূতনিতে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনও করেন বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মানিকচক ব্লকের ভূতনি জলমগ্ন ছিল। দু’সপ্তাহ আগে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দক্ষিণ চণ্ডীপুরের বাঁধ কেটে জল বের করা হয়েছিল। তাতে বন্যা পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেয়ে খুশি হয়েছিলেন দুর্গতরা। প্রায় একমাস ত্রাণ শিবিরে থেকে বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। তার মধ্যেই আবারও তৈরি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। উত্তর চণ্ডীপুরের কেশরপুরের কাটা বাঁধ দিয়ে ঢুকছে গঙ্গার জল। কালুটোনটোলায় কোশী নদীর জল এবং দক্ষিণ চণ্ডীপুরের কাটা বাঁধের অংশ দিয়ে ফুলহারের জল প্রতিনিয়ত ঢুকছে ভূতনিতে। ইতিমধ্যে পুলিনটোলা, গিরিটোলা, অশোকনগর, চম্পানগর, আলাদিয়া এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। রাস্তার মধ্যে একহাঁটু জল। জল রয়েছে বাড়ির মধ্যেও। এই পরিস্থিতিতে পুলিনটোলার প্রায় ৪০টি পরিবার আবার বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন। পুলিনটোলার রাস্তার উপর দিয়ে যাচ্ছে জল। জলস্তর আরও বাড়লে যাতায়াত বন্ধ হতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ মণ্ডল বলেন, পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। তিন দিক দিয়ে জল ঢোকায় জলমগ্ন এলাকা। আলাদিয়া এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত।
প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর বিধায়ক সাবিত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গতদের পাশে রয়েছেন। প্রায় দুই হাজার মশারি পাঁচটি এলাকার দুর্গতদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বিধায়ক জানান, এলাকায় আবার জল ঢুকলেও ভয়ের কারণ নেই। আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। সেচদপ্তরকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। সেচদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।