বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত উত্তর দিনাজপুর টোটো কর্মী সংগঠনের রায়গঞ্জ শহর শাখার সভাপতি জয়ন্ত রায় বলেন, আমরা ভাড়ার তালিকা তৈরি করার জন্য আলোচনায় বসব। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, আমরা এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছি। সম্প্রতি পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকও করেছি। সেই বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল। কিন্ত তার মধ্যেই নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আমরা বিষয়টির উপর নজর রাখছি।
রায়গঞ্জ শহরে প্রতিদিন কয়েক হাজার টোটো চলাচল করে। এই টোটো চালকদের একাংশ শহরের যে কোনও জায়গা থেকে যাত্রী তোলার সময়ে ইচ্ছে মতো ভাড়া দাবি করে। টোটোতে ন্যুনতম ১০ টাকা ভাড়া রয়েছে। কিন্তু রাতে বা ভোরের দিকে সেই ভাড়াই ২০টাকা কখনও কখনও তারও বেশি টাকা দাবি করা হয়। রায়গঞ্জ শহরের একটি অংশে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপো রয়েছে। প্রতিদিন খুব ভোর থেকে শহরে যাত্রী চলাচল শুরু হয়ে যায়। ভোরে বাসস্ট্যান্ড থেকে টোটোতে চাপতে গেলে প্রায়ই বেশি ভাড়া দাবি করা হয়। একই ভাবে শহরের মাঝামাঝি অংশে অবস্থিত রায়গঞ্জ পৌর বাসস্ট্যান্ড ও রায়গঞ্জ স্টেশন রয়েছে। রায়গঞ্জ পৌর বাসস্ট্যান্ডের সামনের রাস্তায় সব সময়েই টোটো দাঁড়িয়ে থাকে। সেখানেও অনেক সময়ে যাত্রীদের সঙ্গে টোটো চালকদের ভাড়া নিয়ে বচসা বাধে। সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি হয় রায়গঞ্জ রেল স্টেশন এলাকায়। এখানে খুব ভোরে যেমন ট্রেন এসে থামে সেরকম রাত ১১টা তেও ট্রেন আসে। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে টোটো ধরতে গেলে টোটো চালকদের একাংশ মর্জিমতো ভাড়া দাবি করেন। এছাড়া টোটোতে চাপতে গেলে যাত্রীদের হাজারো বিরক্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এরপাশাপাশি টোটো চালকদের বিরুদ্ধে যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করারও অভিযোগ রয়েছে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে শহরবাসী দ্রুত টোটোর ভাড়ার তালিকা তৈরির দাবি জানিয়েছেন।