বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর মালদহের প্রার্থী মৌসম নুর বলেন, প্রার্থী ঘোষণার আগে থেকেই আমাদের দলীয় প্রস্তুতি চলছিল। আমাদের রাজ্যনেতা তথা দলীয় পরিদর্শক শুভেন্দু অধিকারী পঞ্চায়েত থেকে সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। এলাকায় এলাকায় দলীয় বৈঠক করা হয়েছে। জেলার সিংহভাগ দেওয়াল দখল করে আমাদের প্রচারও শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বড়কথা আমাদের তৃণমূলস্তরের নেতাকর্মীরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন সফল করতে মালদহ থেকে দু’টি আসনই জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। দলের সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপি’কে রুখে দেওয়ার সংগ্রামে নেমে পড়েছেন। আমজনতার কাছেও এই আত্মবিশ্বাস ও তৎপরতা একটি বার্তা দিচ্ছে। বিজেপি’র জেলা প্রবক্তা অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমাদের দলে প্রার্থী বড় কথা নয়, দলকে সংগঠিত করা এবং দলীয় প্রতীকের স্বপক্ষে লড়াইটাই মুখ্য। মানুষের কাছে দলের প্রতীক পৌঁছে দেওয়ার কাজ প্রতিদিনই চলছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনেও মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন যে তারা আমাদের সঙ্গে থাকতে চান। ফলে আমরা মালদহে নির্বাচনী সাফল্য নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, মালদহের একটি আসনে আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) লড়বেন, এটা স্বাভাবিকভাবেই মানুষের কাছে অজানা নয়। অন্য আসনে প্রার্থী ঘোষণা না হলেও দলীয় কর্মসূচি নিজস্ব গতিতেই চলছে। জোটসংক্রান্ত বিষয় রাজ্য নেতৃত্ব দেখছে। আমরা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পঞ্চায়েত নির্বাচন কীভাবে হয়েছে তা সকলেই জানেন। এবারের নির্বাচনে তার জবাব তৃণমূল ও বিজেপি পেয়ে যাবে। সিপিএম জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, আমাদের দলীয় কর্মসূচি চলছেই। সেসব তো প্রকাশ্যে আলোচনা বিষয় নয়। সারা বছরই আমরা মানুষের সঙ্গে সংযোগ রেখে চলি। যে রকম পরিস্থিতি আসবে তার মোকাবিলায় দল প্রস্তুত আছে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর থেকেই জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। কার্যত তখন থেকে প্রথমবার লোকসভার দু’টি আসনে তৃণমূলের পতাকা উড়িয়ে দিয়ে নেতৃত্বের তৎপরতা শুরু হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টা পরে পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে তৃণমূলীদের আত্মবিশ্বাসের পারদ চড়ছে বই নামছে না। রাজ্যের শাসকদল ইতিমধ্যেই দু’টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করাই নয়, প্রচারেও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। দলীয় কোন্দলের জন্য তৃণমূলের অন্দরে জেলার বদনাম থাকলেও এবার এখানে প্রার্থী নিয়ে বিবাদের ছিটেফোঁটাও নেই। অন্যদিকে, বিরোধী শিবিরের কোনও দলই এখনও প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। কংগ্রেসের দক্ষিণ মালদহের সংসদ সদস্য ডালুবাবুর এবারও ভোটে লড়া নিশ্চিত হলেও দলীয় ঘোষণা বা প্রচার কোনওটাই নেই। আবার সিপিএমের সঙ্গে জোটের পরিস্থিতি বাস্তবে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তা নিয়ে দু’দলের জেলা নেতৃত্বই ধন্দে আছে। প্রকাশ্যে বিজেপি’র অবস্থানও স্বস্তিদায়ক নয়। প্রার্থী ঘোষণার আগেই দলের মধ্যে ক্ষোভবিক্ষোভের ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে। প্রকাশ্যে প্রচারের ক্ষেত্রেও গেরুয়া শিবিরে তৎপরতা বিশেষ দেখা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক মহল বলছে, ভোট ঘোষণার চারদিন পরেও কার্যত ফাঁকা ময়দানে নিজেদের ছায়ার সঙ্গেই লড়ছে তৃণমূল।