নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিরোধী জোট টিকবে না বেশিদিন। এরকমই বিশ্বাস বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের। আর তাই শুরু থেকেই সংসদের অন্দরে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে ফাটল ধরানোর কৌশল নিয়ে এগচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, সংসদের স্পিকার নির্বাচনের দিনেই কাকতালীয়ভাবে ২৫ জুন পড়েছে? নাকি পরিকল্পিতভাবেই এই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে? কারণ এদিনই ছিল দেশে জরুরি অবস্থার ৪৯ তম বার্ষিকী। আগামী বছর পঞ্চাশ স্পর্শ করবে। স্পিকার নির্বাচনের দিন শরিকদের সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব তৈরি করতেই বড়সড়ভাবে জরুরি অবস্থা বিরোধী প্রতিবাদ, সংসদে নীরবতা পালন কিংবা সংবিধান বাঁচানোর শপথ গ্রহণের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করেন মোদি। কারণ, একমাত্র জরুরি অবস্থা নিয়েই কংগ্রেস সর্বদা ব্যাকফুটে। ইন্ডিয়া জোটের কোনও শরিকই জরুরি অবস্থার পক্ষে সওয়াল করে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াবে না এটা মোদি জানেন। সেই কারণেই ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসকে একঘরে করার এই চেষ্টা। যদিও প্রাথমিকভাবে সেই কৌশল অন্তত বুধবার সফল হয়নি। কারণ শিবসেনা (উদ্ধব) থেকে আরজেডি, সকলেই সরকারকে তো বটেই, এমনকী পরোক্ষে স্পিকারকেও স্বৈরতন্ত্রীই আখ্যা দিয়েছে। শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেছেন, জরুরি অবস্থার সময়ও এরকমভাবে সংসদ থেকে গণহারে বিরোধীদের সাসপেন্ড করা হয়নি। জরুরি অবস্থার থেকে এই পরিস্থিতি কোনও অংশে কম নয়। বিজেপি সূত্রে অবশ্য খবর, এই কৌশল একদিনের জন্য নয়। আগামীদিনেও এই স্ট্র্যাটেজি চালিয়ে যাবে বিজেপি। এই কৌশলের অন্যতম হাতিয়ার হতে চলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সিবিআই যেমন গ্রেপ্তার করেছে, তেমনই এবার অন্য ইন্ডিয়া জোটের নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে এজেন্সিহানা আরও সক্রিয় হবে বলে জানা যাচ্ছে। আরজেডি এমপি মনোজ কুমার ঝা বলেছেন, এবারের লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে যে, নরেন্দ্র মোদি দুর্বল এখন। জনপ্রিয়তাও তলানিতে। তাই বিরোধীদের বিরুদ্ধে মোদি আর লড়াই করতে পারবেন না। বিজেপির শক্তিশালী সেনাপতি নেই। তাই এখন বিজেপির সবথেকে শক্তিশালী নেতা হল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
মনোজ ঝা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই সিবিআই, এই ইডি কিন্তু আগামীদিনে জমানা বদলে গেলেও থাকবে। তখনও তারা এভাবেই কাজ করবে। আমরা তখন বলব, মোদিজি, আমরা আপনার কাছেই শিখেছি এসব।