হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ভি ডি সতীশনের অভিযোগ, এলডিএফ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অধিবেশনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। কিন্তু, অধ্যক্ষ এ এন শামসি তাঁকে থামিয়ে দেন। অধ্যক্ষ ভয় পেয়েই তাঁকে বক্তৃতা শেষ করতে দেননি বলে সতীশনের অভিযোগ। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ইউডিএফের মুলতুবি প্রস্তাবও অধ্যক্ষ খারিজ করে দিয়েছেন। যদিও অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ওই হত্যাকাণ্ডের কোনও অভিযুক্তেরই সাজা কমানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কেরল সরকার। অধ্যক্ষর এই মন্তব্যকে ‘যুক্তিযুক্ত’ নয় বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন সতীশন। তিনি বলেছেন, সরকারের হয়ে মন্তব্য করা অধ্যক্ষের কাজ নয়।
পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, ওই হত্যাকাণ্ডে কয়েকজন দোষীর সাজা কমানোর চেষ্টা যে কেরল সরকার যে করছে, তার প্রমাণ রয়েছে ইউডিএফের কাছে। তাঁর কথায়, ‘আমাদের কাছে সরকারি চিঠি রয়েছে যেখানে সাজা কমানোর বিষয়ে পুলিস কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।’ সতীশনের কথা শেষ হতে না হতেই অধ্যক্ষ সাফ জানিয়ে দেন, অতীতে যেহেতু বিধানসভায় একাধিকবার এই বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে, তাই বিরোধী দলনেতাকে আর এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে দেওয়া যাবে না। এরপর সতীশনের মাইক্রোফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর তখনই অধ্যক্ষের উদ্দেশে চিৎকার করে সতীশন বলেন, ‘আপনি ভয় পেয়েছেন।’
কোঝিকোড় জেলা সিপিএমের গুরুত্বপূর্ণ নেতা টি পি চন্দ্রশেখরন দল ছেড়ে নতুন দল রেভলিউশনারি মার্ক্সিস্ট পার্টি (আরএমপি) তৈরি করেছিলেন। তাঁর নতুন দল ওই এলাকায় সিপিএমের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ২০১২ সালে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা চন্দ্রশেখরনকে কুপিয়ে খুন করে। অভিযোগ ওঠে, দলত্যাগী নেতাকে মারার জন্য সিপিএমের জেলা নেতৃত্বই ভাড়াটে খুনি লাগায়। অভিযোগ, ওই ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে টি কে রাজেশ, কে কে মহম্মদ সফি এবং এস সিজিথ নামে ৩ জনের সাজা কমানোর বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে কেরলের বাম সরকার। ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, দোষী ১২ জনের মধ্যে ৯ জনের ক্ষেত্রে ২০ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ না করা পর্যন্ত সাজা কমানো যাবে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ওই ৯ জনের মধ্যেই রয়েছে রাজেশ, সফি এবং সিজিথের নাম।