ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
জগৎবল্লভপুরের লস্করপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুন্সিরহাটে সিদ্ধেশ্বর শঙ্কর পাঠশালার (উচ্চ মাধ্যমিক) কাছেই চলছিল চোলাইয়ের ঠেক। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে চোলাই বিক্রি হয়। দিনভর মদ্যপদের ভিড় লেগে থাকে এই ঠেকে। অভিযোগ, অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি প্রায়ই অশান্তি ও মারামারির ঘটনা ঘটে এখানে। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে পড়ুয়াদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে বহুবার দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও সিদ্ধেশ্বর শঙ্কর পাঠশালার শিক্ষকরা। কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পড়ুয়াদের নিয়ে পথ অবরোধে শামিল হন শিক্ষকরা। রাস্তায় বেঞ্চ পেতে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পড়ুয়ারা। বিক্ষোভে যোগ দেয় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অঞ্জনকুমার আচার্য বলেন, ‘স্কুলের সীমানার বাইরেই রমরমিয়ে চোলাইয়ের কারবার চলছে। সেখানে এতটাই চিৎকার চেঁচামেচি হয় যে, ক্লাস করানোই মুশকিল। বাধ্য হয়েছি আমরা রাস্তা অবরোধ করেছি’। জগৎবল্লভপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পড়ুয়ারা অবরোধ তুলে নেয়। প্রায় তিন ঘণ্টার যানজট স্বাভাবিক হতে আরও সময় লেগে যায়। হাওড়া গ্রামীণ পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, ‘ওই এলাকায় নিয়মিত পুলিসি টহল চলে। আগামী দিনে সেখানে পুলিস পিকেট বসানো হবে’। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে আবগারি দপ্তরও। আবগারি দপ্তরের ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর (আন্দুল রেঞ্জ) ইন্দ্রজিৎ মিত্র বলেন, ‘কীভাবে ওই এলাকায় দিনের পর দিন চোলাইয়ের ঠেক চলছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে শো-কজ করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা আর যাতে না ঘটে, সেই ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে।’