ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
অন্যদিকে, বলাগড়ের চর খয়রামারির পাঁচ নম্বর বাঁধ জলের তোড়ে পুরোটাই ভেঙে গিয়ে পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে। সেখানকার প্রায় ৩১০টি পরিবারের সঙ্গে মূল জিরাটের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। চাকদা-জিরাট ফেরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হুগলির গুপ্তিপাড়া-শান্তিপুর ফেরি সার্ভিসও ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন।
চুঁচুড়ার মহকুমা শাসক বলেন, চুঁচুড়া পুরসভার একটি ওয়ার্ড ও বলাগড় থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা এই সময় খুব জরুরি। তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে বাসিন্দাদের। চর খয়রামারির পরিস্থিতি নিয়ে জিরাটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অশোক পোদ্দার বলেন, বাঁধ ভেঙে গিয়ে সেখানকার মানুষ জিরাট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। কিছু পরিবারকে আমরা আশুতোষনগরের স্কুলের ত্রাণ শিবির করে রেখেছি। সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে জল কমার বদলে বাড়ছে, তাতে সমস্যা জটিল হচ্ছে। গুপ্তিপাড়া-১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ বলেন, শুক্রবার সকালে জল বেড়েছিল। তারপর একটু কমে। কিন্তু বিকেলের পর থেকে জল হু হু করে বাড়ছে। ফেরি যোগাযোগ চালু করার মতো পরিস্থিতি দূরের কথা, স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত।
গঙ্গা আগেই টইটম্বুর ছিল। এরপর বানের জেরে আচমকা জলোচ্ছ্বাস তৈরি হয়। তাতেই বুধবার রাত থেকে হুগলির চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, কোন্নগর, বৈদ্যবাটি পুরসভার বেশ কিছু অংশে জল ঢুকে পড়ে। শুক্রবারও সেই বন্যা পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। ফলে জলমগ্ন এলাকার মানুষদের দুর্ভোগ বাড়ছে।