নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গোটাপথে ন্যাড়ার মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে বাতিস্তম্ভগুলি। একটিতেও আলো নেই। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ সংলগ্ন কলুটোলা স্ট্রিটের ছবি এমনটাই। প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মিটার পথের দু’পাশে সব মিলিয়ে প্রায় ২৫টি ত্রিফলা আলো থাকলেও জ্বলে না কোনওটাই। এমনকী, বাতির ঢাকনাও উধাও। রাস্তার এক ধারের ফুটপাত কার্যত দখল হয়ে গিয়েছে। শুয়ে থাকেন ফুটপাতবাসীরা। সেখানে প্রকাশ্যেই চলে শৌচকর্ম। এই রাস্তার একদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, অন্যদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে এই কলুটোলা স্ট্রিট ধরেই আসা যায় কলেজ স্ট্রিটে। রাস্তার দু’পাশে রয়েছে চওড়া ফুটপাত। কিন্তু এই রাস্তায় সুউচ্চ বাতিস্তম্ভ থাকলেও ত্রিফলাগুলির অবস্থা খারাপ। সম্ভবত কেউ বা কারা ত্রিফলার বাতিগুলি খুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। ফলে সন্ধ্যা নামলে অনেকটাই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে রাস্তা। ফুটপাতের একধারে রয়েছে দখলদারির সমস্যা। কোথাও পড়ে রয়েছে বাঁশ, কোথাও আবার ফুটপাতেই সংসার পেতেছেন ফুটপাতবাসীরা। সেখানেই চলছে রান্নাবান্না। কলেজ স্ট্রিটের এক দোকানি সুমন ঘোষের কথায়, প্রশস্ত ফুটপাত থাকলেও সেখান দিয়ে হাঁটাচলা করা যায় না। বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হয়। ফুটপাতবাসীরা সেখানেই প্রকাশ্যে প্রস্রাব করেন, কেউ কেউ শৌচকর্মও সারেন। এগুলি পুরসভার দেখা উচিত।
পেভার ব্লকে মোড়া কলুটোলা স্ট্রিটের সেই ফুটপাত এভাবেই নষ্ট হচ্ছে। পথ চলতি লোকজনের কোনও উপকারে আসে না। শহরের বুকে হকার নিয়ন্ত্রণ হলেও কেন এই ফুটপাতবাসীদের নিয়ে কোনও পদক্ষেপ হয় না, তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকের। কলেজ স্ট্রিটের এক ওষুধের দোকানের মালিক সঞ্চিত ভদ্রের কথায়, তাঁরা ফুটপাতেই রান্না করেন, সেখানেই ঘুমোন। তাঁদের সরাতেও কি পুরসভার হাত কাঁপে? এসবের জন্যই শহরে দৃশ্য দূষণ হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের। কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফুটপাতবাসীদের অন্যত্র সরিয়ে জায়গাটি পরিষ্কার করে ওই ফুটপাত চলাচলের যোগ্য করে দেওয়া হবে।