ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
সোমবার সন্ধ্যাতেই ভার্চুয়াল বৈঠকে কলকাতা পুলিসের দশ ডিভিশনের ডিসিদের নিজেদের এলাকা দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেন কমিশনার বিনীত গোয়েল। তারপর সোমবার সন্ধ্যাতেই হাতিবাগানের দু’পাড়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেয় শ্যামপুকুর থানা। সময় দেওয়া হয় ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু তার আগেই অ্যাকশন শুরু। নর্থ ও নর্থ ডিভিশনের ডিসি অভিষেক গুপ্তার নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরেই হাতিবাগানে অভিযান চালান শ্যামপুকুর থানার আধিকারিকরা। পুলিস সূত্রে খবর, ১৯৯৭ সাল থেকে হাতিবাগানে হকাররা বসছে। ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করতে মাঝেমধ্যেই অভিযান চালানো হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর একেবারে কড়া ভাষায় ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিস। স্টলের বর্ধিত অংশ, অস্থায়ী ছাউনিও খোলানো হয়। ডিভিশন সূত্রে খবর, হাতিবাগান চত্বর থেকে প্রায় ২০০টি স্পট দখলমুক্ত করা হয়েছে। আজ বাগবাজার মোড় থেকে বাগবাজার ঘাট পর্যন্ত অভিযানে নামছে পুলিস। সেখানে রাস্তা দখল করে থাকা প্রত্যেককে হটিয়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিট ও মঙ্গলবার বিকেলে নিউ মার্কেট চত্বরকে দখল-রোগ মুক্ত করতে নামে পার্ক স্ট্রিট ও নিউ মার্কেট থানার পুলিস। মোট ১৫০টিরও বেশি স্পট দখলমুক্ত করা হয়েছে বলে খবর। নিউ মার্কেটে রক্সি বিল্ডিংয়ের পাশে ও হগ মার্কেটের সামনে থাকা হকারদের দোকানের বর্ধিত অংশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলে ফেলতে বলা হয়েছে। পুলিস বলেছে, নির্দেশ অমান্য করলে দোকান ভেঙে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি এদিন দুপুরে গড়িয়াহাট থানা অধিকাংশ ফুটপাত দখলমুক্ত করে। পুলিসের সাউথ ইস্ট ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়িয়াহাটের ৬১টি স্পট থেকে জবরদখলকারীদের হটানো হয়েছে। ১০৮ হকারকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। ২৩ হকারকে স্থানান্তর করার জন্য পুরসভাকে জানিয়েছে গড়িয়াহাট থানা। এর পাশাপাশি ঠিকা জমিতে তিন তলার বেশি নির্মাণের অনুমতি দেয় না কলকাতা পুরসভা। তবে রুবি এলাকার আরআর প্লটের উদ্বাস্তু কলোনিতে একটি বেআইনি চারতলা নির্মাণ চিহ্নিত করেছে পুরসভা। এদিন সেখানে পুলিস গিয়ে নির্মাণ কাজ আটকায়। পুরসভা জানিয়েছে, বাড়িটি ভেঙে ফেলা হবে।