কথায় বলে, ‘খরিদ্দার লক্ষ্মী’। অর্থাৎ ক্রেতা যত বেশি, তত বেশি বিক্রিবাটা। ব্যবসা যত বাড়বে, ততই সমৃদ্ধ হবে দেশ। ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ানো সেই ‘লক্ষ্মী’ প্রজন্ম বাড়ছে ভারতে। এদেশের ক্রয়মুখী প্রজন্ম টেক্কা দিতে প্রস্তুত চীনকে। একটি রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এল সম্প্রতি।
চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের প্রথম তিন মাসে প্রতিটি বড় শহরেই ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে। সেই তুলনায় কলকাতায় ফ্ল্যাটের দামবৃদ্ধি হয়েছে কম হারে। আবাসন সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন ক্রেডাই একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করেছে।
করোনা-পরবর্তীকালে রাজ্যে আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা রাখতে একাধিক উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। রাজ্য অর্থদপ্তর ঘোষণা করে যে, ক্রেতারা স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড় পাবেন। সার্কেল রেটে ছাড় মিলবে ১০ শতাংশ হারে।
হাওড়ার ডোমজুড়ে ই-স্কুটার তৈরির কারখানা গড়তে চলেছে কসমিক বিড়লা গ্রুপ। কলকাতার এই সংস্থা ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের ইলেকট্রিক দু’চাকা প্রস্তুতকারক সংস্থা রাফ্ট মোটরস কিনে নিয়েছে।
নতুন যাত্রীবাহী ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে আনল টাটা মোটরস। মাঝারি মাপের এসইউভি মডেলে এই নতুন ইলেকট্রিক বা ব্যাটারি চালিত গাড়ির নাম রাখা হয়েছে ‘কার্ভ ইভি’ (CURVV EV)। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, ছিমছাম গড়ন, ঝাঁ চকচকে মন ভোলানো রং ছাড়াও ‘কার্ভ’ ইলেকট্রিক গাড়ি চমকে দেবে তার দামে।
বাংলাদেশের নাগরিকরা কলকাতায় যে শুধু চিকিত্সার প্রয়োজনে কিংবা বেড়াতে আসেন, এমনটা কিন্তু নয়। ওপার বাংলার উচ্চবিত্ত শ্রেণি এ শহরে নামকরা দোকানগুলিতে ব্র্যান্ডেড পোশাক কিনতেও আসেন। দক্ষিণ কলকাতার একটি শপিং মলে বিদেশের জামাকাপড়ের সমাহার।
প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে আইটিসি সানফিস্ট নিয়ে এল ‘সুপার এগ অ্যান্ড মিল্ক’ বিস্কুট। আইটিসির দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, শিশুদের মধ্যে প্রোটিনের ঘাটতি থাকছে। সেই ঘাটতি মেটানোর ক্ষেত্রে দুধ এবং ডিমকে একত্রিত করে তারা একেবারে নতুন ধরনের বিস্কুট এনেছে।
বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য চালু হয়েছে। তবে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এদিনও দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য চালু হয়নি। এজন্য পেট্রাপোল সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে শ’য়ে শ’য়ে পণ্যবোঝাই ট্রাক।
বাজেটে সোনার উপর আমদানি শুল্ক ৯ শতাংশ কমিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাতে প্রাথমিকভাবে কিছুটা স্বস্তি মিলেছিল সোনার দামে। টানা তিনদিনে ১০ গ্রাম পিছু হলুদ ধাতুর দাম কমেছিল প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা।
বাংলার পাট শিল্পের করুণ দশা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের হস্তক্ষেপের দাবিতে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য। ভারত সরকারের জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া ও জুট কমিশনারের তরফে জুট মিলগুলিকে ন্যূনতম ব্যাগের বরাত দেওয়ার কারণেই সেগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে বলে অভিযোগ।
ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) আর্থিক নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠকে আভাস দেওয়া হয়েছিল, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিনমাস, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.১ শতাংশ হতে পারে। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে সেই পূর্বাভাসে জিডিপি বৃদ্ধির ছিটেফোঁটা কমিয়ে দিল। তারা জানিয়েছে, এই বৃদ্ধির হার ৭ থেকে ৭.১ শতাংশ হতে পারে। চলতি অর্থবর্ষ শেষে দেশের ডিজিপি বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ থাকার পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আরবিআই। এসবিআইও সেই একই পূর্বাভাসের কথা জানাল। তবে এসবিআইয়ের রিপোর্টে বলছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিনমাসে শিল্পের হার মোটেই ভালো যায়নি।
শিল্পের হাল খারাপ কেন? স্টেট ব্যাঙ্ক তাদের রিপোর্টে তথ্য দিয়ে বলেছে, শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত চার হাজার সংস্থার আর্থিক ফলাফল আশানুরূপ নয়। প্রথম তিনমাসে সংস্থাগুলিতে সর্বোচ্চ স্তরে বৃদ্ধির হার মাত্র ৫ শতাংশ। অন্যদিকে কর, সুদ-সহ কয়েকটি খরচ বাদ দিলে সংস্থাগুলির যে আয় হয়েছে, তা ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম তিনমাসের তুলনায় ১ শতাংশ কম। সংস্থার ওই আয়ের সঙ্গে কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত খরচগুলি যোগ করলে ‘গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড (জিভিএ)’ পাওয়া যায়। এসবিআইয়ের তথ্য বলছে, গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সেই জিভিএ বৃদ্ধির হার ছিল ১০.৯ শতাংশ। তার আগের দেড় বছরে প্রতিটি ত্রৈমাসিকে এই বৃদ্ধির হার আরও বেশি ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের শেষ তিনমাসে (জানুয়ারি-মার্চ) জিভিএ বৃদ্ধির হার ছিল ১৭.১৮ শতাংশ। বৃদ্ধির এই হার কম থাকায় উৎপাদন শিল্প মার খাবে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সারা দেশেই গত ত্রৈমাসিকে জিভিএ বৃদ্ধির হার ৬.৭ থেকে ৬.৮ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করছে এসবিআই। অর্থাৎ তা জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাসের চেয়েও কম।
শিল্পের হাল খারাপ কেন? স্টেট ব্যাঙ্ক তাদের রিপোর্টে তথ্য দিয়ে বলেছে, শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত চার হাজার সংস্থার আর্থিক ফলাফল আশানুরূপ নয়। প্রথম তিনমাসে সংস্থাগুলিতে সর্বোচ্চ স্তরে বৃদ্ধির হার মাত্র ৫ শতাংশ। অন্যদিকে কর, সুদ-সহ কয়েকটি খরচ বাদ দিলে সংস্থাগুলির যে আয় হয়েছে, তা ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম তিনমাসের তুলনায় ১ শতাংশ কম। সংস্থার ওই আয়ের সঙ্গে কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত খরচগুলি যোগ করলে ‘গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড (জিভিএ)’ পাওয়া যায়। এসবিআইয়ের তথ্য বলছে, গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সেই জিভিএ বৃদ্ধির হার ছিল ১০.৯ শতাংশ। তার আগের দেড় বছরে প্রতিটি ত্রৈমাসিকে এই বৃদ্ধির হার আরও বেশি ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের শেষ তিনমাসে (জানুয়ারি-মার্চ) জিভিএ বৃদ্ধির হার ছিল ১৭.১৮ শতাংশ। বৃদ্ধির এই হার কম থাকায় উৎপাদন শিল্প মার খাবে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সারা দেশেই গত ত্রৈমাসিকে জিভিএ বৃদ্ধির হার ৬.৭ থেকে ৬.৮ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করছে এসবিআই। অর্থাৎ তা জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাসের চেয়েও কম।
