ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
একটি স্টোরে কত দাম হতে পারে জুতোর? মধ্যবিত্ত শুনে চমকে যেতে পারেন। দোকানের কর্মীর কথায়, ‘এক জোড়া জুতোর দাম শুরুই হয় ৬৫ হাজার টাকা থেকে।’ বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত শ্রেণি কলকাতায় এসে ওই চড়া দাম দিয়েই জিনিসপত্র কেনেন। এক কর্মী জানালেন, জুতো অর্ডার দিয়ে গিয়েছিলেন একজন। তিনি এই ডামাডোলে অনলাইনে টাকা পাঠাতে পারছেন না। এখানেও আসতে পারছেন না। আমরা সে জুতো প্যাক করে বসে আছি।’ ওই দোকানটির সামনে একটি স্যুট-প্যান্টের স্টোর। সেখানে উচ্চবিত্ত বাংলাদেশিরা সাধারণত বিয়ের কেনাকাটা করে থাকেন। সেখানেও বাংলাদেশি ক্রেতার সংখ্যা হুহু করে কমেছে। ওর পাশে একটি বিলাসবহুল ব্যাগের স্টোর। সেই স্টোরের এক কর্মীর কথায়, গত একমাসে বাংলাদেশি ক্রেতাদের সংখ্যা বেশ কমেছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে চলতে থাকা অশান্তির প্রভাব পড়েছে শহরের ব্যবসার উপরও। ফলে সমস্যায় ব্যবসায়ীরা।
যেমন ব্র্যান্ডেড স্টোরগুলোর অবস্থা তেমনই নিউ মার্কেটের দোকানগুলিও সমস্যায়। নিউ মার্কেটের এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘বাংলাদেশে ঝামেলা আর আমাদের এখানে কমে গিয়েছে ক্রেতা। প্রতিদিন অনেকে বাংলাদেশ থেকে আসতেন। সেই সংখ্যা খুব কমেছে।’ এই চত্বরের মির্জা গালিব স্ট্রিটেও ব্যবসা অনেকটা বাংলাদেশি ক্রেতা নির্ভর। সেখানে সিম কার্ড কেনার, খাবারের হোটেলগুলিতে ক্রেতা কমেছে। বাংলাদেশ থেকে বাংলায় লেখা টি শার্ট আনেন এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘পুজোর সময় স্টক আনতে হবে। কিন্তু কী ভাবে আসবে, তা জানি না। এখনও পর্যন্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি।
এর পাশাপাশি শিয়ালদহের বিদ্যাপতি সেতুর তলায় শিশির মার্কেট অঞ্চলেও বছরভর শপিং করতে আসেন বাংলাদেশের বাসিন্দারা। মাসখানেক ধরে সেই সংখ্যা কমেছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। রেডিমেড কাপড়ের দোকানের রনি বিশ্বাস জানালেন, ‘এখন বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি, ওপার থেকে এখানে কাস্টমার কমই আসবেন। পুজোর আগে বেচাকেনা মার খাবে।’ শিশির মার্কেট ব্যবসায়ী সংগঠনের নকুল কুণ্ডু বলেন, ‘বাংলাদেশ, ত্রিপুরার লোকেরা অনেকেই কেনাকাটা করতে আসেন। তাঁদের দেখা পাচ্ছি না। ক্রেতা যে দেশেরই হোক না কেন, বাড়তি বেচাকেনা হলে সকলেরই ভালো লাগে। কিন্তু বাংলাদেশিদের আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’