ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
দিল্লির হয়ে একসঙ্গে খেলেছেন দু’জনে। আবার দেশের জার্সিতেও গড়েছেন পার্টনারশিপ। তার মধ্যে ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ৮৩ রানের মূল্যবান যোগদানও রয়েছে জুটিতে। কোহলির কথায়, ‘দীর্ঘদিন আমরা একসঙ্গে খেলেছি। একই ড্রেসিং-রুমে প্রচুর ওঠানামার সাক্ষী থেকেছি।’ গম্ভীর জানালেন, দু’জনের মধ্যে যে উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্ক হয়েছে, তার কারণ একটাই— জেতার জ্বলন্ত তাগিদ। তাঁর মতে যা নিছকই ‘গুড স্পিরিট’।
দু’জনের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ হল টেস্ট ক্রিকেট। ভিকের চেয়ে বছর পাঁচেকের সিনিয়র গম্ভীরের মতে, ‘টেস্টই হল ক্রিকেটের উত্তুঙ্গ শৃঙ্গ। ওডিআই অভিষেক হয়েছিল টেস্ট খেলার আগে। টেস্ট অভিষেকই এখনও পর্যন্ত আমার সেরা স্মৃতি। বিশ্বাস করেছি, লাল বলের ক্রিকেটের পারফরম্যান্সই মাপকাঠি।’ কোহলি শোনালেন, ‘কোটলায় যেখানে তোমরা প্র্যাকটিস করতে সেখানেই বরাবর নেট করতে চেয়েছি। প্রথমে দিল্লির হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলাই ছিল লক্ষ্য। আমাদের দু’জনের দৃষ্টিভঙ্গিই এক। জেতার প্রবল ইচ্ছে সেখান থেকেই এসেছে।’ গম্ভীর আবার প্রশংসা করেছেন কোহলির। বলেছেন, ‘তোমরাই টেস্ট ক্রিকেটের মশালবাহক। এখন পরবর্তী প্রজন্মকেও টেস্ট খেলতে মোটিভেট করাই চ্যালেঞ্জ। আমি বিশ্বাস করি টেস্ট দল যত শক্তিশালী, সেদেশের ক্রিকেটও তত শক্তিশালী।’
কোহলি জানতে চান কেন বারবার বিপক্ষ বোলারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছেন গম্ভীর। উত্তর আসে, ‘তোমার সংখ্যাটা তো আরও বেশি। জবাবটা তুমিই ভালো দিতে পারবে।’ মজা, খুনসুটিতে উধাও অতীতের যাবতীয় বিতর্ক। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রসঙ্গে অবশ্য হাসি-ঠাট্টার আবহ নেই একেবারেই। তাঁর মতে, ‘আমরা কোনও দলকেই হাল্কাভাবে নিচ্ছি না। চ্যাম্পিয়নসুলভ পারফরম্যান্স মেলে ধরাই লক্ষ্য।’ স্পিন খেলা নিয়ে দুর্বলতার প্রসঙ্গও উড়িয়ে দিলেন গ্যালারিকে। সাফ বললেন, ‘যে কোনও দলের স্পিন আক্রমণকে শাসন করার শক্তি রয়েছে ভারতের ব্যাটিংয়ে। আর একদিনের ম্যাচের থেকে টেস্টে তফাত অনেকটাই।’ বোলারদের প্রশংসা করে তাঁর মন্তব্য, ‘একসময় ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত হতো টিম ইন্ডিয়া। তবে বুমরাহ, সামি, অশ্বিন, জাদেজাদের সৌজন্যে বোলাররাও ম্যাচে জেতাচ্ছে। এখন বিশ্বের সেরা পেসার বুমরাহই।’