ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
শেষ চার ম্যাচে নয় গোল হজম করেছে মোহন বাগান। এর মধ্যে ডুরান্ড কাপ ফাইনাল ও আইএসএলে মুম্বই ম্যাচে দু’গোলে লিড নিয়েও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ সবুজ-মেরুন ডিফেন্স। তাই বুধবার এসিএল-টু’এর লড়াইয়ে দুর্গ অক্ষত রাখাই প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কোচ মোলিনার। সেই মতো দলের ফর্মেশনে বদলের পাশাপাশি ম্যাচের শুরু থেকেই কিছুটা গুটিয়ে রইলেন দিমিত্রি-মনবীররা। প্রথমার্ধে পালতোলা নৌকার কোনও আক্রমণই নেই। সারক্ষণ স্কোয়ার ও ব্যাক পাস। বরং তেকাঠির নীচে আরও একবার ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন বিশাল। ২৫ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে নাজোরভের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দু’মিনিট বাদেই রাহিমভের শট রুখে দলের পতন আটকান বাগানের দুর্গপ্রহরী। তিন বিদেশি রেখে এদিন প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন মোলিনা। মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা গ্রেগ স্টুয়ার্টের শুরু থেকে না থাকাটা কিছুটা হলেও অবাক করেছিল। স্কটিশ মিডিওর অনুপস্থিতিতে মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরি করার কোনও লোক ছিল না। মাঠে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল সাহাল আব্দুল সামাদকে। অনিরুদ্ধ থাপাও তথৈবচ। সবচেয়ে বড় কথা, এদিন প্রত্যাশিত পারফরম্যান্সের ধারেকাছে ছিলেন না দিমিত্রি। তাই মোহন বাগানের আপফ্রন্টকেও বেশ বিবর্ণ মনে হল।
বিরতির পরও মোহন বাগানের খেলায় কোনও পরিবর্তন ঘটল না। প্রান্তিক আক্রমণে গতি আনতে ৬৫ মিনিটে লিস্টনকে মাঠে নামান মোলিনা। এরই মধ্যে ৭৬ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল কামিংসের সামনে। সেন্টার লাইন থেকে আপুইয়ার থ্রু বল ধরে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও তা হাতে তুলে দেন অজি বিশ্বকাপার। তাঁর শট দেখে মনে হয়নি, গোল করার কোনও সদিচ্ছা তাঁর রয়েছে। শেষের দিকে গ্রেগ স্টুয়ার্টকে এসে শেষ চেষ্টা করেছিলেন মোলিনা। কিন্তু তাঁর পাস থেকে গোল করতে ব্যর্থ কামিংস-পেত্রাতোসরা। ৮৮ মিনিটে দিমিত্রি জাল কাঁপালেও, অফ-সাইডের কারণে তা বাতিল হয়।
মোহন বাগান: বিশাল, আশিস, দীপ্যেন্দু, আলড্রেড, শুভাশিস (আমনদীপ), অনিরুদ্ধ (আপুইয়া), দীপক (অভিষেক), মনবীর (স্টুয়ার্ট), সাহাল (লিস্টন), দিমিত্রি ও কামিংস।