হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি (০) এদিনও ব্যর্থ। চলতি আসরে ছয় ইনিংসে ভিকে’র সংগ্রহ মোটে ৬৬। কিন্তু রোহিত ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৯ বলে, যা তাঁর দ্রুততম। ভারতের স্কোর তখন ৫২! অর্থাৎ দলের বাকি ব্যাটাসম্যানদের অবদান মাত্র দুই, যা এই ফরম্যাটে রেকর্ডও বটে। সেঞ্চুরি নিশ্চিত দেখাচ্ছিল ভারত অধিনায়কের। দ্বিতীয় উইকেটে পন্থের সঙ্গে ৩৮ বলে তুললেন ৮৭। তাতে ঋষভের অবদান মাত্র ১৫। ৮.৪ ওভারে শতরান পূর্ণ হল ভারতের। টি-২০ বিশ্বকাপে এটাই টিম ইন্ডিয়ার দ্রুততম একশো। সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে রোহিত যোগ করলেন ৩৪। নব্বইয়ের ঘরে পোঁছনোর পরই মিচেল স্টার্কের ডেলিভারি ব্যাট ও প্যাডে লেগে ভাঙল স্টাম্প। মাত্র ৮ রানের জন্য অধরা রইল রোহিতের সেঞ্চুরি। ২২৪.৩৯ স্ট্রাইক রেটের এই ঝড় অবশ্য ক্রিকেটমহলে চিহ্নিত হচ্ছে কুড়ি ওভারের ঘরানায় তাঁর সেরা ইনিংস হিসেবে। মারলেন আটটি ছক্কা ও সাতটি চার। মনে হয়েছিল অনায়াসে ২২০ পেরিয়ে যাবে ভারত। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কোনওরকমে দুশো পেরল স্কোর। সূর্যকুমার যাদব (৩১), শিবম দুবে (২৮), হার্দিক পান্ডিয়া (অপরাজিত ২৭), রবীন্দ্র জাদেজাদের (অপরাজিত ৯) ব্যাটে রোহিতের মতো দাপট দেখা গেল না।
জবাবে অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই হারায় ওয়ার্নারের উইকেট (৬)। তবে ট্রাভিস হেড ও অধিনায়ক মিচেল মার্শ দ্রুত গতিতে রান যোগ করে পাল্টা চাপ বাড়ান ভারতের উপর। ১৫.৩ ওভারে রান চেজ করে দিলে অনিশ্চয়তায় ভুগত রোহিত বাহিনী। শেষ পর্যন্ত মার্শকে (৩৭) আউট করেন কুলদীপ। বাউন্ডারির ধারে অনেকটা লাফিয়ে ডান হাতে অনবদ্য ক্যাচ ধরেন অক্ষর, যা টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা। ব্যর্থ ম্যাক্সওয়েল (২০), মার্কাস স্টোইনিসও (২)। ভারতের হয়ে অর্শদীপ তিনটি ও কুলদীপ নেন দু’টি উইকেট।