হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ রায় বলেন, আমাদের পুরসভার আয় খুব কম। শহরে কেউ বাড়ি বাড়া দিলে পুরসভাকে জানাতে চান না। তাই পুরসভা নিজেই শহরে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করবে। সমীক্ষা চালিয়ে দেখা হবে কোন কোন হোল্ডিং নম্বরে ভাড়াটিয়া রয়েছে। সেইসব বাড়িওয়ালাকে বাণিজ্যিক কর দিতে হবে। আমরা বিওসি বৈঠকে কাউন্সিলারদের সঙ্গে আলোচনা করেই পদক্ষেপ নেব।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮৬৯ সালে দাঁইহাট পুরসভা তৈরি হয়। তারপর ১৪টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট দাঁইহাট শহরে জনসংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে দাঁইহাট শহরে প্রায় সাড়ে ৭ হাজারের কাছাকাছি হোল্ডিং নম্বর আছে। সেইসব হোল্ডিং নম্বর থেকে ট্যাক্স আদায় করে যা আয় হয় সেটাই পুরসভার নিজস্ব আয়। শহরে ধীরে ধীরে ভাড়াটিয়া বাড়ছে। কিন্তু শহরে ঠিক কতগুলি হোল্ডিং নম্বরে ভাড়াটিয়া রয়েছে তার তথ্য পুরসভার হাতে নেই। ফলে সেইসব ভাড়াটিয়া থাকা হোল্ডিং নম্বরও পুরসভাকে ডোমেস্টিক ট্যাক্স দেয়। কিন্তু পুরসভার দাবি, ভাড়াটিয়া থাকা হোল্ডিং নম্বরের বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়া বসিয়ে আয় করেন। তাই পুরসভাকেও বাণিজ্যিক কর দিতে হবে ভাড়াটিয়া থাকা বাড়িওয়ালাকে। তাছাড়া ভাড়াটিয়ারাও পুর পরিষেবা ঠিকমতো পান না। তাই তাঁদের তথ্য পুরসভার হাতে থাকলে ভাড়াটিয়ারা পুর পরিষেবাও ঠিকমতো পাবেন। তাই খুব শীঘ্রই সমীক্ষা শুরু হবে।
দাঁইহাট শহর এক সময়ে জমজমাট ছিল। পাশ দিয়ে ভাগীরথী বয়ে যাওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও যথেষ্ঠ গুরুত্ব ছিল। শহরজুড়ে কাঁসা পিতলের ব্যবসা গড়ে উঠেছিল। বর্গি হামলায় ধীরে ধীরে জৌলুস হারিয়ে যেতে বসে। সে সময় দাঁইহাটের নাম ছিল ইন্দ্রানী নগর। জানা গিয়েছে, ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে অগ্রহায়ণ মাসে মৃত্যু হয় বর্ধমানের রাজা মহাতব কীর্তিচাঁদের। মৃত্যুর পর তাঁর দেহাবশেষ নিয়ে দাঁইহাট শহরের ভাগীরথীর তীরে রাজাদের তৈরি গঙ্গাবাসের পাশেই একটি সৌধ নির্মাণ করা হয়। এই সৌধকেই সমাজবাড়ি বলা হয়। কীর্তিচাঁদের তত্ত্বাবধানে শহরজুড়ে বেশ কয়েকটি মন্দির গড়ে ওঠে। এই সৌধের এখন অত্যন্ত বেহাল অবস্থা। ভিতরে জঞ্জালের স্তূপ পড়ে রয়েছে। সংস্কারের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে তখনকার ইতিহাস। সেই ইতিহাসের শহরও বসবাসের জন্য অনেকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। তাই শহরে ভাড়াটিয়ার সংখ্যাও বাড়ছে।