হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, কান্দি শহরের সংকীর্ণ রাস্তা যানজটের প্রধান কারণ বলে দাবি। এর উপর বিভিন্ন জায়গায় ফুটপাত দখল করে ব্যবসার কারণে রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কান্দি নেতাজি বাস টার্মিনাস এলাকা, কান্দি মহকুমা হাসপাতাল এলাকায় জবরদখলকারীর সংখ্যা চরমে। যদিও কয়েকবছর ধরেই বাসিন্দারা জবরদখলকারীদের সরিয়ে রাস্তা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন। পুরসভা থেকে এর উদ্যোগও কয়েকবার নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুর কর্তৃপক্ষ পুনর্বাসনের মাধ্যমে জবরদখলকারীদের ওঠাতে চেয়েছে।
কান্দি পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, শহরের যে জায়গাগুলিতে জবরদখল রয়েছে। তার বেশিরভাগই পূর্তদপ্তরের রাস্তা। কাজেই কাউকে সরাতে গেলে পূর্তদপ্তরকেই উদ্যোগ নিতে হবে। পুরসভার রাস্তাগুলিতে তেমন সমস্যা নেই। তবুও পুরসভা চাইছে পুনর্বাসনের মাধ্যমেই জবরদখল সরানো হোক। কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, শহরের পূর্তদপ্তরের রাস্তাগুলিতেই জবরদখলের সংখ্যা বেশি। আমরা বাম আমল থেকে দাবি জানিয়ে এসেছি, ওঁদের পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য। দাবি এখনও করা হচ্ছে। পূর্তদপ্তরের কাছে জমি চেয়ে কয়েকবার চিঠিও করা হয়েছে। পূর্তদপ্তরের রাস্তার পরেও পিছনে অনেক জায়গা পরে থাকছে। সেখানে পূর্তদপ্তর অনুমতি দিলে পুরসভা ঘর তৈরি করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু পূর্তদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ইতিমধ্যে পুরসভা সাধ্য অনুযায়ী কিছু ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চলেছে।
এবিষয়ে পূর্তদপ্তরের কান্দি মহকুমার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নাড়ুগোপাল দাস বলেন, পুরসভা থেকে এমন কোনও চিঠি আমাদের কাছে আসেনি। আগে এলে বিষয়টি জানা নেই। তবে এই মুহূর্তে কোথাও কোন উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পুরসভার সঙ্গে এনিয়ে আলোচনায় বসা যেতে পারে।
এদিকে কান্দি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকবছর ধরেই পুরসভা ফুটপাত জবরদখলকারীদের পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কান্দি মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় একটি মার্কেটও তৈরি করা হয়েছে। ওই মার্কেটে পৌঁছনোর রাস্তার কাজ শুধুমাত্র বাকি থেকে গিয়েছে। সেটি সম্পূর্ণ হলেই ঘরগুলি নিলাম করা হবে। কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক বলেন, ওই মার্কেটে আমরা শহরের মাছ ও মাংস ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দিতে চাইছি। তাতে কিছুটা হলেও শহরের জবরদখল কমবে। পাশাপাশি এখনই কোনও সরানোর ব্যবস্থা না করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনকে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠানোর জন্য চিঠি করা হচ্ছে।
যদিও কান্দি মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী জামাল শেখ, মতিউর শেখ, কবীর মণ্ডল প্রমুখ জানান, জবরদখল কাণ্ডে তাঁরা ব্যাপকভাবে চিন্তিত। তবে তাঁরাও এভাবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করতে চান না। পুরসভার উদ্যোগকে তাঁরা সাধুবাদ জানিয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।