হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া মশাগ্রাম শাখার রেল লাইন দিয়ে রোজ ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু বাঁকুড়ার বিজয় যোগাশ্রম পল্লি এলাকার লেভেল ক্রসিং প্রহরী বিহীন। বিপদ এড়াতে ও ট্রেন চলাচল সুষ্ঠুভাবে করতে সেখানে আন্ডারপাস গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। সেইজন্য রেলের জমিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার নোটিসও দিয়েছে রেল। সেই নোটিস পেয়ে আতান্তরে পড়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামলী গরাই বলেন, আমরা গরিব মানুষ। রেল আমাদের উঠে যাওয়ার নোটিস দিয়েছে। কিন্তু আমরা এই বর্ষার আগে কোথায় যাব তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছি। আমরা পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।
অন্যদিকে, ওই এলাকায় আন্ডারপাস গড়ার ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হয়েছে। আন্ডারপাসের উচ্চতা ও তার প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দা শান্তি দত্ত, অরুণ ঘোষ বলেন, আন্ডারপাসের উচ্চতা ১৫ ফুট করা হবে। তারসঙ্গে আন্ডারপাস সোজাসুজি করা হবে বলেও আমাদের আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার সংস্থা কাজ করতে এলে জানতে পারি আন্ডারপাস ইংরেজির ‘ইউ’ আকৃতির করা হবে। উচ্চতাও কমিয়ে আনা হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ কথা দিয়ে কথা রাখছে না। তাই তার প্রতিবাদে এদিন আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি। আমাদের দাবি না মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
যদিও আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, ড্রইং অনুযায়ী আন্ডারপাস তৈরি হবে। উচ্চতা ড্রইংয়ে যা রয়েছে তাই হবে। উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব নয়। আমরা বাসিন্দাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। তবে বাসিন্দাদের সুবিধা অনুযায়ী আন্ডারপাসের আকৃতি যতটা ঠিক করা যায় তার চেষ্টা আমরা করব।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ‘ইউ’ আকৃতির হলে আমাদের এলাকা বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে পড়বে। উচ্চতা কম হলে দমকল সহ অন্যান্য গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে না। বাঁকুড়ার ভাদুল, সুর্পানগর, সান্তোড়, বীরবাঁধ সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা এই পথ দিয়ে যাতায়াত করেন। বাঁকুড়া শহরের সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু রেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্ডারপাস হলে প্রত্যেকটি গ্রামের বাসিন্দা বিপাকে পড়বেন। তাই সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।