হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
বিষয়টি নিয়ে একসময় সরব হন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কিশোরীমোহন সিংহ। এরপর গত ডিসেম্বরে মহকুমা পরিষদের উদ্যোগে চলে জমির সমীক্ষা। তাতে ১২ বিঘা জমির হদিশ পায় পরিষদ। সমীক্ষার রিপোর্ট ভূমিদপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কিশোরীবাবু। তবে ছ’মাস কেটে গেলেও যৌথ সমীক্ষা হয়নি। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমি দখলমুক্তের হুঁশিয়ারি দেওয়ায় জেলার আমলারা সক্রিয় হয়েছেন।
বছর তিনেক আগে পানিট্যাঙ্কির সতীশচন্দ্র চা বাগানের জমিতে ওই সংগঠন ৯ কোটি ৭৬ লক্ষ ৬০ হাজার ৮০০ টাকা সেলামিতে ৩০ বছরের জন্য ৭.৯২ একর জমি লিজ পায়। যার বার্ষিক ভাড়া ধার্য হয় ৯৭ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা। তবে লিজের আড়ালে একাংশ জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। মহকুমা পরিষদ মাপজোখ করে ১১.৬৪ একর জমির খোঁজ পায়। তাতে দেখা যায়, প্রায় চার একর জমি দখল হয়ে গিয়েছে। উত্তর রামধন মৌজার চারটি প্লটের ৩.৪৩ একর, গণ্ডগোল মৌজায় চারটি প্লটের ৪.৪৭ একর জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল। অথচ সংশ্লিষ্ট প্লট ছাড়াও উত্তর রামধন ও গণ্ডগোল মৌজায় আটটি করে মোট ১৬টি প্লট দখল হয়েছে বলে অভিযোগ।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কিশোরীমোহন সিংহ বলেন, শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরকারি জমি দখল একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।
যদিও বিষয়টি নিয়ে জানার জন্য বৃহস্পতিবার খড়িবাড়ির বিএলআরও ক্লিমেন্ট ক্রিস্টোফ ভুটিয়েকে একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি। মেসেজ করা হলেও উত্তর আসেনি।
যদিও মহকুমা পরিষদকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ সমীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) প্রেমকুমার তামাং। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে মহকুমা পরিষদ ওই জমির সমীক্ষা করেছে। তবে ভূমিদপ্তরের আধিকারিকরা ছিলেন না। যদিও নির্বাচনের পর যৌথভাবে সেটির যাচাই করার কথা ছিল। আগামী সপ্তাহে আমরা পরিষদকে নিয়ে যৌথ সমীক্ষা করব। সেক্ষেত্রে কোন কোন জায়গা দখল হয়েছে, তা চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ মেচি মার্কেট ব্যবসায়ী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হান্দু ওরাওঁ। তিনি বলেন, লিজের জমিতেই নির্মাণ করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।