হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের শ্যামনগর পঞ্চায়েতে বৃহস্পতিবার সকালে জনসংযোগে নামেন বিজেপি প্রার্থী মনোজবাবু। তাঁর সঙ্গে এদিন প্রচারে ছিলেন হাতেগোনা মাত্র আটজন বুথস্তরের কর্মী। এই কর্মীদের মধ্যে আবার দু’জন শুধু শ্যামনগর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। বাকিরা প্রত্যেকেই বাইরের। জনসংযোগের এই বেহাল ছবিটাই বিজেপি নেতৃত্বের ঘুম ছুটিয়েছে।
রানাঘাট দক্ষিণে মোট ৩০৩টি বুথ রয়েছে। বুথ ধরে ধরে প্রতিদিনই প্রার্থীকে নিয়ে জনসংযোগ কর্মসূচি ও কর্মিসভার আয়োজন করছে বিজেপি। কিন্তু, সেই আয়োজন যেন অন্তঃসারশূন্য। কর্মিসভায় যেমন কর্মীদের বড় অংশের দেখা নেই, তেমনই প্রচারের ময়দানে মুখ ফিরিয়েছেন বুথস্তরের বহু কার্যকর্তাই। বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে নামতে অনীহা প্রকাশ করছেন যুব মোর্চা, মহিলা মোর্চার অনেক সদস্যও।
রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীদের অনেকেই বলেন, জেলা সভাপতি ও সাংসদের নির্দেশে আমরা প্রচারের কাজ করছি ঠিকই। কিন্তু, প্রার্থী কখনও নিজে থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। উষ্মা প্রকাশ করে তাঁরা আরও বলেন, একবেলার প্রচারের জন্য প্রার্থীর সঙ্গে অন্তত ১৫০ থেকে ২০০ জন কর্মীর ময়দানে নামার কথা। কিন্তু, বাইক র্যালির জন্য পেট্রলের ব্যবস্থা কিংবা দীর্ঘক্ষণ প্রচারের ক্ষেত্রে সামান্য জলখাবারটুকুও দেওয়া হয় না।
মহিলা মোর্চার কর্মীদের কয়েকজন বলেন, প্রার্থী শুধু চান প্রচারের সময় তাঁর পিছনে কর্মীরা থাকবে। অথচ তিনি নিজে থেকে আমাদের খোঁজ নেবেন না। এটা তো হতে পারে না।
রানাঘাট দক্ষিণের শ্যামনগর, নোকারি, আইশমালি, মাঝেরগ্রাম, আনুলিয়া, পায়রাডাঙার মতো পঞ্চায়েতগুলিতে কর্মীর অভাবে বিজেপির প্রচার যেন মুখ থুবড়ে পড়ছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মান অভিমান মিটিয়ে মণ্ডল সভাপতি ও শক্তিপ্রমুখদের বড় সংখ্যায় কর্মী জোগাড় করার দায়িত্ব দেওয়া হলেও সেটা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণনগরের মনোজ বিশ্বাসের নাম দল ঘোষণা করায় কর্মীদের একাংশের মধ্যে যে অনীহা তৈরি হয়েছিল, তাও কাটেনি। যদিও নিচুতলার কর্মীদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে অস্বীকার করেছে বিজেপি।