হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
তারাপুর পঞ্চায়েতের কাশীনাথপুর এলাকায় পুলকেশ মণ্ডলের বাড়ি। তিনি রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপির মণ্ডল-২ সভাপতি। দলের হয়ে চারটি পঞ্চায়েতের বুথ কর্মীদের দায়িত্ব তাঁর উপর রয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে নপাড়া মসুন্ডা পঞ্চায়েতের বারোয়ারিতলায় বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের নিয়ে তিনি বৈঠক করছিলেন। অভিযোগ, বৈঠকের মধ্যেই আচমকা তাঁর মুখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারে দেবাশিস। রক্তাক্ত অবস্থায় পুলকেশবাবু মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দেবাশিস চম্পট দেয়। দলের কর্মীরা মণ্ডল সভাপতি পুলকেশবাবুকে রানাঘাট হাসপাতলে নিয়ে এলে তাঁর মুখে তিনটে সেলাই পড়ে। তারপরই তিনি রানাঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
তবে পুলকেশবাবু অভিযুক্তকে বিজেপি কর্মী নয়, তৃণমূলের কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেবাশিস তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। মঙ্গলবার রাতে আমাদের ঘরোয়া বৈঠক ছিল। সেখানে ও এসে কথা আছে বলে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। আমি বাইরে যেতেই আক্রমণ করে। গত লোকসভা ভোটে আমার দায়িত্বে থাকা চারটি পঞ্চায়েতেই বিজেপির লিড এসেছে। তারপর থেকেই দেবাশিস আমাকে নানা রকমভাবে উত্ত্যক্ত করছিল।
যদিও এলাকার বিজেপি কর্মীরা বলছেন, নপাড়া মসুন্ডার বাসিন্দা দেবাশিস দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গেই যুক্ত। দেবাশিস ওই এলাকার বিজেপির শক্তিপ্রমুখ ছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রার্থীর হয়ে প্রচারের জন্য দলের তরফে মণ্ডল সভাপতি পুলকেশবাবুর কাছে টাকা আসে। সেই টাকা প্রচারের জন্য খরচ না করায় দলের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছিল দেবাশিস। সেই জন্য কিছুদিন আগে দলের রোষের মুখে পড়ে তাকে নিজের শক্তিপ্রমুখ পদ খোয়াতে হয়।