সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
আরামবাগ পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, মহকুমা প্রশাসনের সমস্ত বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এবার একসঙ্গে করোনা ও ডেঙ্গুর সঙ্গে লড়াই করব। শহরের নিকাশি নালাগুলি পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। শহরের ১৯টি ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলারদেরও ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে। শহরের নিচু এলাকাগুলিতে যাতে জল জমতে না পারে, তারজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এছাড়াও শহরের জলাশয় ও ছোটবড় নিকাশি নালায় ৭০ হাজার গাপ্পি মাছ ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এর ফলে শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটাই কমবে। এই কঠিন সময়ে করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সকলকে এক সঙ্গে লড়তে হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জমা জলের কারণেই প্রতিবছর শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। তাই জল যাতে জমতে না পারে, সেই বিষয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। ছাড়া হবে গাপ্পি মাছও। এই মাছ মশার লার্ভা খেয়ে নেয়। তাই বদ্ধ জলাশয় ও নিকাশি নালাগুলিতে এই মাছ ছাড়া হবে।
এছাড়াও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পুরসভার সঙ্গেই প্রতিটি ব্লকে বাড়ি বাড়ি ডেঙ্গু প্রতিরোধে নামছে মহকুমা স্বাস্থ্যদপ্তর। বাড়ির ভিতরে ও বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ভাঙা পাত্র, চৌবাচ্চায় যাতে জল জমতে না পারে, তার জন্য এলাকাবাসীকে সচেতন করা হচ্ছে। মশা মারার জন্য পুর ও পঞ্চায়েত কর্মীরা নিয়মিত ওষুধ স্প্রে করছেন।
স্বাস্থ্যদপ্তরের এক কর্তা বলেন, আরামবাগ মহকুমা এলাকা নদী, নালা ও খালবিল দিয়ে ঘেরা। স্বাভাবিকভাবেই এই এলাকা ডেঙ্গু প্রবণ। বর্তমানে করোনা প্রতিরোধে মহকুমার বেশিরভাগ স্বাস্থ্য কর্মীকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। আমাদের হাতে এত কর্মী নেই যে করোনা ও ডেঙ্গু একসঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি। এ জন্য আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আমরা মহকুমা প্রশাসন, পুরসভা ও স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করেছি। করোনা ও ডেঙ্গু মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।