সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
পুরসভার প্রশাসক তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা নরেন্দ্র মোদির একটা ভাঁওতা ছাড়া কিছুই নয়। ব্যাঙ্কগুলো হকারদের হয়রানি করছে। আমরা রাজ্য পুরদপ্তরকে এনিয়ে জানাচ্ছি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ১ জুন হকারদের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্ব-নিধি যোজনা প্রকল্পে ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদি। হকাররা ওই ঋণ পেয়ে আত্মনির্ভর হবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। করোনা আবহে লকডাউন চলাকালীন যেসব হকার দিনের পর দিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের জন্যই এই প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। ওই প্রকল্পে ১০ হাজার টাকা করে সহজ কিস্তিতে ঋণ দেওয়ার কথা বলা হয়। একজন হকার ঋণ নিলে ওই টাকা তাঁকে ১২ মাসে শোধ করতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে ৯৬৪ টাকা করে ইএমআই দিতে হবে। তাছাড়া সরকারি সুবিধাও আছে। অভিযোগ, এই ঋণ পেতে হয়রান হতে হচ্ছে হকারদের।
কাটোয়া শহরে এখনও পর্যন্ত ১০৮০ জন হকারের নাম ওই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পোর্টালে নথিভুক্ত করা গিয়েছে। পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে গিয়েও নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর মধ্যে ৪৩২ জন এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঋণ নিতে আগ্রহী বলে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু মাত্র ৭০ জন হকারের ঋণ অনুমোদন করলেও বাকিদের ক্ষেত্রে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের অভিযোগ, ব্যাঙ্কে গেলে অর্ডার আসেনি, জানি না, এখন হবে না, প্রভৃতি নানা অজুহাতে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কাটোয়া শহরের কয়েকজন হকার বলেন, লকডাউনের সময় ফুটপাতে বসে ব্যবসা করতে পারিনি। ভেবেছিলাম কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে ঋণ নিয়ে ফের ব্যবসা শুরু করব। কিন্তু ব্যাঙ্কে গেলেই আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্কের তরফে আমাদের জানানো হচ্ছে, এখনও অর্ডার আসেনি।
অনেকেই বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ঘটা করে এই প্রকল্পের সূচনা করলেও বাস্তবে কাজের কাজ হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতিতে ফুটপাতে বসে ব্যবসা করতে না পেরে হকারদের অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু হকাররা ব্যাঙ্কে ঋণ নিতে গেলেই তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবেদন করার পরেও মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।