মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
পূর্ব রেলের হাওড়া-কাটোয়া শাখায় রয়েছে নবদ্বীপধাম রেল স্টেশন। নবদ্বীপ শুধু তীর্থক্ষেত্র বা পর্যটন কেন্দ্রেই নয়। এটি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবসায়িক ক্ষেত্র হিসাবেও সুপ্রতিষ্ঠিত। এখানকার তাঁতশিল্প, কাঁসা, পিতলশিল্প বিখ্যাত। ফলে নবদ্বীপে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন স্টেশনটি মডেল স্টেশন হিসাবে ঘোষিত হয়। এখন নবদ্বীপ ধাম স্টেশনে চারটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। কিন্তু নেই কোনও চলমান সিঁড়ি। এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে যেতে হলে ফুটব্রিজ ব্যবহার করতে হয়।
স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন এলাকায় জোরকদমে চলছে চলমান সিঁড়ি বসানোর কাজ। বহু প্রতীক্ষিত চলমান সিঁড়ির কাজ শুরু হওয়ায় খুশি শহরের বাসিন্দারা। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সভাপতি গোপালচাঁদ মল্লিক বলেন, বৈষ্ণবতীর্থ নবদ্বীপে মহাপ্রভুর জন্মভূমি দর্শনে বহু মানুষ রেলপথে আসেন। তাঁদের একটা বড় অংশই বয়স্ক। তাঁদের পক্ষে ফুটব্রিজ পার হওয়ার মতো কষ্টকর বিষয় কিছু হতে পারে না। এই জায়গা থেকে আমরা দাবি তুলেছিলাম নবদ্বীপ ধাম স্টেশনে চলমান সিঁড়ি চালু করতে হবে। প্রায় চার বছর ধরে আমরা বিষয়টি নিয়ে এক নাগাড়ে লেগেছিলাম। তারই ফলস্বরূপ এই কাজ শুরু হয়েছে। আমরা ভীষণ আনন্দিত।
নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের গা ঘেঁষে রাস্তা গিয়েছে। সেখানে এমন জায়গায় চলমান সিঁড়ি তৈরি হচ্ছে, ট্রেন যাত্রীরা যাতে রাস্তা থেকে কোনও ধাপ না পেরিয়েই সরাসরি চলমান সিঁড়ি উঠতে পারে। চলমান সিঁড়ি লম্বায় ২৩ মিটার এবং উচ্চতায় ৬ মিটার।
নবদ্বীপ স্বর্ণ-রৌপ্য ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিৎ বিট বলেন, ২০১৫ সালে আমরা প্রথম রেল কর্তৃপক্ষের কাছে চলমান সিঁড়ির দাবি জানাই। পরবর্তীকালে নিত্যযাত্রী থেকে বিভিন্ন সংগঠন আমাদের দাবিকে সমর্থন করেছে। তবে আমাদের দাবি ছিল এক এবং দুই নম্বর দুটো প্ল্যাটফর্মেই চলমান সিঁড়ি করতে হবে। কিন্তু এখন শুধু এক নম্বরেই হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মেও যাতে চলমান সিঁড়ি বসানো হয়, সে বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে যাব।
নবদ্বীপ ধাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার রমেন্দ্রলাল সরকার বলেন, নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম মেইন রাস্তার ধারে। প্রবীণ ব্যক্তিরা নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় ফুটব্রিজ ব্যবহার করতে চরম কষ্টের সম্মুখীন হন। মূলত তারজন্যই এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে নির্মিত হচ্ছে চলমান সিঁড়ি। সেটি চালু হলে সকলের সুবিধা হবে। কাজ চলছে জোরকদমে। আশা করা যায় আগামী দোল পূর্ণিমার আগেই এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে নবনির্মিত চলমান সিঁড়ি চালু করা যাবে। তারজন্য প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় হবে।