মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
রবিবার দুপুরে রামপুরহাট থানায় মরণোত্তর চক্ষুদান, রক্তদান শিবির ও বয়স্ক নাগরিকদের সাহায্যকল্পে সম্মানীয় নামে এক প্রকল্পের সূচনা করা হয়। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রামপুরহাট মহকুমা পুলিস আধিকারিক সৌম্যজিৎ বরুয়া, আইসি সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকার, তৃণমূলের রামপুরহাট-১ ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন প্রমুখ।
জানা গিয়েছে, বয়স্ক নাগরিকদের জন্য সূচনা হওয়া সম্মানীয় টিমের সদস্য রয়েছেন থানার বিভিন্ন র্যাসঙ্কের অফিসার ও সিভিক ভলান্টিয়ার। ছ’টি ওয়ার্ড করে এক একটি টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর বয়স্ক নাগরিকদের বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেবে তারা। বিশেষ করে যে সব বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বাড়িতে একাই থাকেন। তাঁদের নিরাপত্তা ও সহায়তার লক্ষ্যেই পুলিসের এই উদ্যোগ।
পুলিসের এই উদ্যোগের মাঝেই ভাইরাল হওয়া ভিডিও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সম্মানীয়পত্র তুলে দেওয়ার সময় খাঁকি উর্দি ও টুপি পরিহিত থানার এএসআই রঞ্জন দত্ত কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নতমস্তক হয়ে প্রণাম করছেন। মঞ্চের সামনের সারিতে থাকা শহরের বহু নাগরিক সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করতে ব্যস্ত।
কয়েক সেকেন্ডের সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলের পাশাপাশি রাজনৈতিক শিবিরেও। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এই ভিডিওকে হাতিয়ার করেই ‘দলদাস প্রশাসন’-এর অভিযোগ তুলেছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মন বলেন, রাজ্যবাসীর কাছে এই দৃশ্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। মন্ত্রীর সামনে উর্দি নতমস্তক হয়ে যাচ্ছে। বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামপদ মণ্ডল বলেন, এই জেলায় তৃণমূল আর পুলিস-প্রশাসন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। পদোন্নতির আশায় শাসকদলের তল্পিবাহক হতে চাইছে কিছু পুলিসকর্মী।
এক পুলিস অফিসার বলেন, অল ইন্ডিয়া সার্ভিস কনডাক্ট রুল অনুযায়ী সাংবিধানিক কোনও পদাধিকারীকে ডিউটিতে থাকাকালীন স্যালুট করা যেতে পারে। কিন্তু, কোনও ব্যক্তিকে প্রণাম করা তো সার্ভিস রুলের পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এবিষয়ে ওই এএসআই রঞ্জন দত্তকে ফোন করা হলে তিনি প্রশ্ন শুনে ব্যস্ত আছেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তবে, রামপুরহাট থানার আইসি সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, কৃষিমন্ত্রীর ছাত্র ওই অফিসার। হয়তো শিক্ষক হিসেবে সম্মান জানাতে কৃষিমন্ত্রীকে প্রণাম করেছেন।
অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমার প্রথম পরিচয় একজন শিক্ষক হিসেবে। ওই পুলিস অফিসারও হয়তো আমরা ছাত্র। তিনি আবেগবশত প্রণাম করতে চেয়েছিলেন। আমি তাঁকে হাত ধরে তুলে দিয়েছি। এটা কোনও অপরাধ বলে মনে করি না। আর বিরোধীদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। অন্যদিকে জেলার পুলিস সুপার শ্যাম সিংকে বহুবার ফোন করা হলেও তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছি বলে জানান।