বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বিজেপি’র উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি নির্মল দাম বলেন, প্রার্থী ঘোষণা না হলেও আমরা বসে নেই। ইতিমধ্যেই আমরা বুথের কাজ করে নিয়েছি। অনেকেই বলছে আমরা না কি পিছিয়ে পড়ব। কিন্তু সেটা একবারেই ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। মিটিং, মিছিলের জন্য প্রাথমিক যেসব কাজ করা দরকার তা আমরা অনেকদিন আগেই শেষ করে ফেলেছি। দেওয়াল দখল করে চুনকাম করা, দলীয় প্রতীকও আঁকা হয়েছে। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেই রাতারাতি ওসব শূন্যস্থান পূরণ হয়ে যাবে। কোনও কর্মীর মনোবল ভেঙে পড়েনি। ওসব বিরোধীরা বলেই থাকে। আমারা ওসব কথায় গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমি নিজে বিভিন্ন মণ্ডলে যাচ্ছি। বিরোধীরা বাজারে নানা ধরনের কথা রটাচ্ছে। কিন্তু ওসবের কোনও ভিত্তি নেই। কর্মীদের মেসেজ দিয়ে বলেছি কোনওধরনের গুজবে কান না দিতে। আমরা রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে খুব ভালো প্রার্থী পাব। আমরাই এখানে শেষ হাসি হাসব। এখান থেকে সংসদে আমরা প্রতিনিধি পঠাব। জেলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার। আমরাই পারব বাসিন্দাদের ন্যায্য দাবিদাওয়া পূরণ করতে।
জেলা বিজেপি’র সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, রাজ্য থেকে জেনেছি চলতি সপ্তাহেই প্রার্থীর নাম ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন আমরা ভোটে লড়ার প্রাথমিক কাজগুলি করছি।
তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, বিজেপি’র শক্তি খানিকটা বাড়লেও তা কখনও আমাদের কাছে ফ্যাক্টর নয়। সিপিএমের ইসলামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, আমরা এই আসনে গতবার জিতেছি। আমরাই এটা ধরে রাখব। প্রচারে আমরাই এগিয়ে আছি।
জেলার বিজেপি শিবিরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, গত বিধানসভা নির্বাচন থেকেই তাদের ভোট বিগত নির্বাচনগুলি অপেক্ষা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এমনকী গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় তাদের দল উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। জেলার অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে তারাই প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে। যা লোকসভা ভোটে বাড়তি অক্সিজেন এনে দিচ্ছে। বিজেপি’র দাবি, এবার তারা রায়গঞ্জ আসনটি জেতার লক্ষ্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দাড়িভিটকাণ্ড নিয়ে শাসকদলকে চাপে ফেলতে বিজেপি একের পর এক কর্মসূচি নিয়েছিল। সম্প্রতি ছাত্র, যুব, মহিলা সংগঠন সহ দলের সমস্ত শাখা সংগঠনকে সক্রিয়ভাবে ময়দানে নামানো হয়েছে। জেলা নেতাদের দাবি, প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেই সকাল-সন্ধ্যা প্রচারে নামা হবে।
রাজনৈতিক মহলের আলোচনা, বিজেপি এবার রায়গঞ্জ আসনে অতিপরিচিত হেভিওয়েট কোনও মুখকে দাঁড় করাবে। ইতিমধ্যেই জেলা থেকে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় অফিসে প্রার্থীদের নাম পাঠানো হয়েছে। দল সূত্রেই খবর, ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য সরাসরি রাজ্য কিংবা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাজে আবেদন করেছেন। তারা সবদিক বিচার বিশ্লেষণ করেই হেভিওয়েট প্রার্থীর নাম জানাবে। তবে শেষপর্যন্ত কাকে এই আসনে দাঁড় করানো হয় সেদিকেই তাকিয়ে দলের নিচুতলার কর্মীরা। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ছড়িয়েছিল, জেলা কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সিকে দলে টেনে বিজেপি প্রার্থী করার জন্য দৌড়ঝাঁপ করেছিল। কিন্তু দীপাদেবী ওই দাবি আগেই নস্যাৎ করেছেন।