বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
মাস ছয়েক আগে পরিত্যক্ত ওই দুই শিশুকে হাতে পায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের রাখা হয়েছিল সেখানকার সিক নিও ন্যাটাল কেয়ার ইউনিটে। চিকিৎসা এবং যত্ন করতে করতে ডাক্তার থেকে নার্স সকলেরই মায়া পড়ে যায় অনাথ ওই দুই শিশুর উপরে। প্রায় সন্তান স্নেহে তাদের বড় করে তোলেন চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য কর্মীরা। পরে এই দুই শিশুর প্রতি স্নেহের বাঁধনে জড়িয়ে পড়েন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডাঃ জ্যোতিষ দাসও।
ছয় মাস পূর্ণ হওয়ায় প্রথা মেনে বৃহস্পতিবার এই দুই শিশুর অন্নপ্রাশনে আয়োজনের ঢালাও ব্যবস্থা করে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। রাই ও ঋষিকে নতুন পোশাকে সাজিয়ে তাদের মুখে প্রথমবার ভাত তুলে দেন জ্যোতিষবাবু এবং আরেক চিকিৎসক ডাঃ দেবব্রত বিশ্বাস। অতিথিদের জন্য ছিল পেট পুরে খাওয়ার ব্যবস্থা। ছিল সুগন্ধী ভাত থেকে ইলিশ, রুই, কাতলা, মাংস এবং পরমান্ন। এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে গলা বুজে আসে ডেপুটি সুপারের। তিনি বলেন, শুধু অর্থ নয় আবেগ দিয়ে ওদের বড় করেছি আমরা। তাই ওদের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার আগে গভীর মন খারাপ গ্রাস করেছে আমাদের সকলকেই। জেলা শিশু কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন চৈতালি সরকার বলেন, আমরা রাই ও ঋষির সব রকম খেয়াল রাখব। চাইব ওদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যতের ব্যবস্থা করতে।