নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মার্কিন নির্বাচনের বাকি আর দেড় মাস। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান—দুই শিবিরেই সাজ সাজ রব। জোরকদমে চলছে প্রচার। তার মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে অন্য এক দুশ্চিন্তা—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। আসন্ন নির্বাচনে এআই কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে রাজনীতির কারবারি থেকে আম জনতার মধ্যে আলোচনার অন্ত নেই। আগের একাধিক নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মার্কিন নির্বাচন প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। এবারেও একই কাজ পারে বলে সম্প্রতি ৩২টি ইন্টারনেট ডোমেন সিজ করার কথা ঘোষণা করে মার্কিন প্রশাসন। জানা গিয়েছে, ডপেলগ্যাংগার নামে পরিচিত এই অপারেশনের মাধ্যমে রুশরা তথ্যবিকৃতি, নথি বদলের কৌশল নিয়েছিল। তা রুখতেই ডোমেনগুলি সিজ করা হয়। মার্কিন ভোটারদের বড় অংশের পাশাপাশি রাজনীতিবিদদের ধারণা, এআইয়ের মাধ্যমে ভুয়ো ভিডিও, প্রার্থীদের গলা নকল করে ঘৃণা ভাষণ ছড়ানোর মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এমন ঘটনা ঘটলে নষ্ট হবে প্রার্থীদের ভাবমূর্তি। সব মিলিয়ে প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনে। গত বৃহস্পতিবার কলকাতার আমেরিকান সেন্টারে এনিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে মার্কিন কনস্যুলেট। ভার্চুয়াল ওই সভায় অংশ নেন রিপাবলিকান ইলেকশন স্পিকার অ্যালিসন উইলিয়ামস এবং ডেমোক্র্যাট দাশিকা রাফিন।
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা দিয়েছে, নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার হাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ৮৫ শতাংশ মার্কিন ভোটারই। ভয়েস ক্লোন, ভিডিও ম্যানিপুলেশন রুখতে বিধিনিষেধ থাকলেও এবারের ভোটে এআইয়ের প্রভাব যে কোনওভাবে এড়ানো সম্ভব নয়, সেই বিষয়ে একমত রাজনৈতিকভাবে বিপরীত শিবিরের দুই সদস্য। অ্যালিসনের কথায়, ‘এবারের নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নেগেটিভ প্রভাব ফেলতে পারে বলে দুশ্চিন্তায় মার্কিন জনতার একটা বড় অংশ।’ প্রায় একই সুর শোনা যায় দাশিকা রাফিনের গলায়। তিনি জানান, নিত্যনতুন প্রযুক্তির মধ্যে বাক স্বাধীনতা, তথ্যের জোগান অব্যাহত রাখতে গিয়ে গণতন্ত্র বা নাগরিকরা যেন বিপদে না পড়েন।