ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোটা সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে আমূল বদলে দিতে হবে। শুধু বিরোধীরাই নয়। বিজেপির অন্দরেও এই ব্যবস্থা কীভাবে চালু করা সম্ভব বা আদৌ উচিত কি না, তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মোদি সরকার জানিয়ে দিয়েছে যে, চলতি সরকারের সময়সীমায় হবে ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন। অর্থাৎ ২০২৯ সালেই তা চালু হবে। আর সেটা যদি হয় তাহলে, আগামী বছর থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত সময়সীমায় যে রাজ্য বিধানসভার ভোটগুলি হবে, তারপর কোনও নতুন সরকারের মেয়াদ আর পাঁচ বছর হবে না। এই ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য যে সংবিধান সংশোধন করা দরকার এবং নতুন ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে সেটি সবথেকে কঠিন কাজ। কারণ তারই প্রেক্ষিতে আগামী বছরগুলিতে বাজেট বরাদ্দ অথবা যে কোনও সরকারি প্রকল্প রূপায়ণের কাজ হবে।
১০টি রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা সবথেকে বেশি হচ্ছে। এই ১০টি রাজ্য বিধানসভার ভোট হবে ২০২৮ সালে। হিমাচল প্রদেশ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, মিজোরাম, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থান। ২০২৮ সালে বিধানসভার ভোট। আবার ২০২৯ সালে হবে লোকসভার ভোট। ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন ২০২৯ সালে চালু হওয়ার অর্থ, এই রাজ্যগুলিতে নতুন সরকারের মেয়াদ ১২ মাসও হবে না। রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজি আগামী দিনে কী হবে? কারণ ১০ মাসের জন্য ভোটে জয়ী হয়ে সরকারে আসার জন্য আগ্রহ কর্মীদের মধ্যে তৈরি করা কঠিন।
উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, গুজরাত বিধানসভার ভোট হবে ২০২৭ সালে। অর্থাৎ তারপর গঠিত সরকারের মেয়াদ হবে মাত্র দেড় বছর। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ুর বিধানসভা ভোট হবে ২০২৬ সালে। এই রাজ্যগুলিতে যারা ক্ষমতাসীন হবে, সেই সরকার মাত্র আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে ভেঙে যাবে। সোজা কথায়, নরেন্দ্র মোদির নতুন গিমিকের জেরে আবার ভারতজুড়ে চলবে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নির্মাণ পর্ব।