নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সরকার গঠনের ১৫ দিনের মধ্যেই জোটের জন্য অস্বস্তিকর বার্তা দিল বিহার বিজেপি। জানিয়ে দিল বিহারে তাদের লক্ষ্য, একক গরিষ্ঠতা। অর্থাৎ তারা চায় বিজেপির নেতৃত্বেই গঠিত হোক এনডিএ সরকার। নীতীশ কুমারকে পরোক্ষে কঠোর বার্তা দিয়েই যেন বলা হল, বিহারে বিজেপির নেতৃত্বে হবে জোট সরকার। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেটাও ভোটের পরই সিদ্ধান্ত হবে। অর্থাৎ বিহারে আগামী নির্বাচনের পর জোট জয়ী হলেই যে নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হবেন, এটা বিহার বিজেপি অন্তত মনে করছে না। যেদিন  দিল্লিতে জেডিইউ এমপিদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী, সেদিনই বিহারের সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা অশ্বিনী চৌবে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। তিনি আরও বলেছেন, আমরা চাই না কোনও আমদানি করা নেতা আমাদের দলের কোনও বড়সড় পদে বসুন। অর্থাৎ দলবদলুদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার তিনি প্রকাশ্যে বিরোধিতা করলেন। বললেন, বাজপেয়িজি, আদবানিজির দলে এরকম আমদানি করা নেতাদের প্রয়োজন নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, নির্বাচনের মাত্র ৮ মাস আগে নীতীশ কুমারকে এমন বার্তা কেন দিতে গেল বিজেপি?
আপাতভাবে অল ইজ ওয়েল মুডে রয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। সংসদের অন্দর এবং বাইরে সেই আত্মবিশ্বাস প্রাণপণে দেখানোর চেষ্টাও হচ্ছে। কিন্তু আড়ালে তৈরি হচ্ছে অস্বস্তি আর অনিশ্চয়তার বাতাবরণ। তেলুগু দেশম নিয়েও নিশ্চিন্ত থাকছে না বিজেপি। কারণ বুধবার তেলুগু দেশম এমপিরা দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বৃহস্পতিবার তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। ডেপুটি স্পিকারের পদ নিয়ে আমরা কিছু বলিনি। আমাদেরও এখনও পর্যন্ত কিছু অফার দেওয়া হয়নি। আমাদের একটাই চাহিদা। অন্ধ্র প্যাকেজ। এটাই সন্দেহ বাড়াচ্ছে বিজেপির। তেলুগু দেশম সরকারে থাকছে, কিন্তু কোনও পদের দাবি জানাচ্ছে না। এমনকী নিতেও চাইছে না। সোজা কথায়, চন্দ্রবাবু নাইডু বিচ্ছিন্ন থাকছেন। প্রশ্ন উঠছে, কেন এই ইচ্ছাকৃত অনীহা? বাজেট পর্যন্ত দেখা হবে কতটা প্যাকেজ পাওয়া যায়? 
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। অজিত পাওয়ারের এনসিপি যে কোনও সময় জোটে বিদ্রোহ করতে পারে বলে গুঞ্জন। আসন্ন ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে প্রবল মতান্তর শুরু হয়েছে এনডিএ জোটে।